Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

দণ্ডপ্রাপ্তকেই দু’টির একটি বেছে নিতে হবে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

আট বছর বয়সী ভিকি লিন হসকিনসনকে খুনের অপরাধে অ্যারিজোনার জেলে ১৯৮৪ সাল থেকে সাজা কাটছে ৬৬ বছর বয়সি ফ্র্যাঙ্ক অ্যাটউড। তাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। তবে আদালতে কখনোই নিজের অপরাধ স্বীকার করেনি ফ্র্যাঙ্ক। সম্প্রতি ৩ মে খুনের শাস্তিস্বরূপ ফ্র্যাঙ্ককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে অ্যারিজোনার সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এর পর ফ্র্যাঙ্কের আর কোনো আবেদন গ্রহণ করবে না আদালত। ৪ জুন ফ্র্যাঙ্ককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে বলে আদালত রায়ে জানিয়েছে। মরার উপায় হিসেবে তাকে দু’টি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নেয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। সে কোন উপায়ে মরতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত হবে ফ্র্যাঙ্কেরই। ফ্র্যাঙ্ককে যে দু’টি বিকল্প দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল শরীরে বিষ ইঞ্জেকশন প্রবেশ করিয়ে মৃত্যু। দ্বিতীয়টি, নিশ্বাসের মাধ্যমে বিষাক্ত সায়ানাইড গ্যাস ঢুকিয়ে মৃত্যু। ১৯ মে-র মধ্যে ফ্র্যাঙ্ককে নিজের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানিয়ে দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এক সময় সায়ানাইড গ্যাসের ব্যবহার হতো নাৎসি বাহিনীর ক্যাম্পে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ লাখ বন্দীকে মেরে ফেলতে হিটলার-বাহিনী সায়ানাইড গ্যাসকেই বেছে নিয়েছিল। সায়ানাইড গ্যাস শরীরে ঢুকলে একজন ব্যক্তিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট ধরে কষ্ট সহ্য করতে হয়। ব্যাপক কষ্ট সহ্য করে অবশেষে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ‘হলোকাস্ট’-এর সময় নাৎসিদের এই গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ইতিহাস এখনো ভয় ধরায়। ইহুদি হওয়ার কারণে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ১৯৩৯ সালে অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কের মা। ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবীরা সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছেন। সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবী জোসেফ পারকোভিচ। এর আগেও অ্যারিজোনার জেলে বিষাক্ত সায়ানাইড গ্যাস ‘জাইক্লন বি’ ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ বার নব্বইয়ের দশকে অ্যারিজোনার একটি জেলে ‘জাইক্লন বি’ ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তবে এই বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের ফলে সাজাপ্রাপ্তদের যে কষ্টকর মৃত্যু হয়েছিল, তার ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ