বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আবারও দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিনের দাম ১৮০ টাকা আর পাম সুপার ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগামীকাল থেকেই এই মূল্য কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফাচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় নেটিজনরা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ফেসবুকে জাহিদুল নামে একজন লিখেছেন, হঠাৎ করে লিটার প্রতি ৩৮ বাড়ানো এটা অন্যায়। আমাদের তো আর বেতন বাড়ে না। এখন আমরা যাবো কোথায়? একটু বলবেন কি প্লিজ। হয়তো চুরি করতে হবে, না হয় মরতে হবে।
রবিন হাসান নামে একজন লিখেছেন, চারদিকে এতো উন্নয়ন হচ্ছে, তাহলে সয়াবিন তেলের কেন উন্নয়ন হবে না। এখন থেকে সয়াবিন না খেয়ে তিন বেলা উন্নয়ন খেতে হবে।
যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের দাম এখন ৯৮৫ টাকা। মানে ১ হাজার টাকা। কোম্পানি-ডিলার সবাই জানতো ৫ লিটারে ২শ’ টাকার বেশি করে দাম বাড়বে। এজন্যই ঈদের আগে মার্কেটে আউট সয়াবিন বোতল। শয়তানে ভরা এ দেশ নিয়ে আবার আমরা গর্ব করি।
শাহাদাত নামে একজন লিখেছেন, দাম বৃদ্ধি করবে সরকার। কিন্তু তা না করে ব্যবসায়ীরা হুটহাট করে দাম বৃদ্ধি করার স্বিদ্ধান্ত দিলো। তাহলে বাণিজ্যমন্ত্রীর কি দরকার।
হারুন নামে একজন লিখিছেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিজয় হয়েছে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা আপনারা একবার কি ভেবেছেন।
কেফায়েত শাকিল নামে একজন লিখেছেন, একলাফেই সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়ানো এটা খুব অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য। এমন হলে আমরা চলবো কিভাবে।
শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, ঈদের আগে বাজার থেকে সয়াবিন তেল নাই হয়ে যাওয়ার কারণ এখন পরিস্কার। তার মানে দাম বাড়ানো হবে এই তথ্যও ব্যবসায়ীদের কাছে লিক হয়ে গিয়েছিল।
দ্রুত সয়াবিন তেলের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।
আবার অনেকে টিকটক ও লাইকি করে এ ব্যাপারে হাস্যকর ভিডিও বানিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকে সরকারের ব্যর্থতা বলেছেন। সবাই দ্রুত দাম কমানোর দাবি জানিয়ে নিজ নিজ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা দ্রুত দাম কমানোর দাবি জানান। দাম না কমলে অনেকে আবার আন্দোলন করারও হুঁশিযারি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।