২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
![img_img-1720113787](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1677821213_500-321-Inqilab-white.jpg)
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সঠিক পুষ্টি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের পথকে প্রশস্ত করে, বিকাশের প্রতিবদ্ধকতা দূর করে এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধি তরান্বিত করে। আপনার অটিজমে আক্রান্ত শিশু যে খাবারগুলো খায় সেগুলোকে সুচিন্তিতভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সনাক্ত করে তার মস্তিষ্কের বিকাশ এবং আচার আচরণকে উন্নত করতে আপনি সাহায্য করতে পারেন।
অটিজম স্পেকট্রাম ডির্সঅডারে আক্রান্ত শিশুরা জৈব খাদ্য থেকে খুবই উপকৃত হয়ে থাকে। এই ধরনের খাদ্যে টক্্িরনের পরিমাণ কম থাকে, যা আপনার সন্তানের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। একটি সম্পূর্ণ জৈব খাদ্য শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য সর্বোত্তম। যাইহোক, যদি এটি বাস্তবসম্মত না হয়, এখানে কিছু পরামর্শ প্রদান করা হলো যা আপনার সন্তানের সুস্থ মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বিবেচনা করা উচিত।
পরিশোধিত চিনি গ্রহণ সীমিত করাঃ
প্রথমত, আপনার শিশু যে পরিমাণ চিনি খায় তা সীমিত করুন। চিন্তা করে দেখুন কিভাবে অতিরিক্ত চিনি বা জাঙ্ক ফুড আপনার আমার মেজাজকে পরিবর্তন করে থাকে। এটি অনুধাবন করা খুব কঠিন নয় যে এই একই প্রভাব একটি শিশুর বিকাশমান মস্তিষ্কে কিভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বিশেষ করে যারা অটিজমে আক্রান্ত শিশু তাদের জন্য। যদি একটি শিশুর প্রতিদিনের খাবার থেকে পরিশ্রæত চিনি সম্পূর্ণরুপে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে এটি অনেক বাবা-মায়ের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য মনে হতে পারে।
যদি আপনি সম্পূর্ণরুপে আপনার সন্তানের প্রতিদিনের খাদ্য থেকে থেকে পরিশোধিত চিনি অপসারণ করতে অক্ষম হন, তাহলে আপনি আপনার সন্তান যে সকল কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত জুস, চিনিযুক্ত ফলের রস, ছোট মিষ্টি বিস্কুট, মিষ্টান্ন এবং অতিরিক্ত শিশু যুক্ত খাবার খায় সেগুলোর পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন। উপরে উল্লেখিত এই খাবার এবং পানীয়গুলো আপনার সন্তানের মস্তিস্কের বিকাশ কিংবা তাদের স্বাস্থ্যের সামগ্রিকভাবে কোন উপকার সাধন করে না। আসলে, অত্যধিক পরিশোধিত চিনি শিশুদের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে এবং মনোযোগের ব্যাপ্তিকে কমিয়ে দেয়।
স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার দেয়াঃ
আপনি কি জানেন যে আমাদের মস্তিষ্ক ৭০%ই চর্বি? মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট প্রয়োজন, তাই আপনার সন্তানের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা অপরিহার্য। না, এটি কোন বিরোধাভ্যাস নয়। সঠিক স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাওয়া যেগুলো আভোকাডো, বাদাম, ওয়ালনাট, অতিরিক্ত বিশুদ্ধ জলপাইয়ের তেল, মাছের তেল, কডলিভার তেল, রুই জাতীয় বড় মাছ, টুনা মাছসহ সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায়-এইগুলো সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের এই অত্যাবশ্যক চর্বিগুলোর ঘাটতি থাকে। যদি আপনার সন্তান মাছ খেতে পছন্দ না করে, তাহলে আপনি ওমেগা-৩ দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারেন-যা কিনা মাছের তেলের মতো পরিপূরক। অবশ্যই সমস্ত চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। নির্দিষ্ট ধরনের কিছু স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন- মার্জারিন এবং উদ্ভিজ্জ তেল সুস্থ মস্তিষ্কের বিকাশকে বাধা দেয়। যদি আপনাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে রান্না করতে হয় তাহলে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ জলপাই তেল বা বিশুদ্ধ ঘি ব্যবহার করুন।
পানিকে পছন্দের পানীয় হিসেবে বেছে নেওয়াঃ
পরিশেষে,পানিকে আপনার সন্তানের একমাত্র পানীয় হিসেবে গ্রহণ করুন। ফলের রস এবং অন্যান্য কোমল পানীয়সমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত রাখুন। একজন অভিভাবক হিসেবে আমি এর প্রতিকূলতা অনুধাবন করতে পারি। বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়সমূহ এবং ফলের রস নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রতিটি শিশু উপস্থিত হয়ে থাকে। কিন্তু পানি পান করার উপকারিতা অনস্বীকার্য: পানি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকারক পদার্থগুলোকে পাতলা করে এবং শরীরকে বিষমুক্ত করণে পানির সাথে অন্যান্য কোমল পানীয় সমূহের তুলনা হয় না।
সৌভাগ্যক্রমে, আমাদের সন্তানদের মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যকর উপায়ে বিকশিত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আমাদেরকে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। মানসিক অবস্থা, মেজাজ, আচার আচরণ এবং মনোযোগের স্থায়ীত্বের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে বলে দেওয়া যায় যে মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যকর উপায়ে বিকশিত হচ্ছে কিনা। আপনি যদি বর্ণিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে আপনার অটিজমে আক্রান্ত শিশু একটি সুষম স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করে যাতে প্রচুর পরিমানে ফল ও সবুজ শাকসবজি রয়েছে, তাহলে আপনি আপনার সন্তানের আচার আচরণে এবং মনোযোগের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দুই মাসেরও কম সময়ে দেখতে পাবেন ।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদেরকে সঠিকভাবে সনাক্ত ও চিকিৎসা সেবায় সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আপনার অটিজমে আক্রান্ত শিশুটির সঠিকভাবে সনাক্তকরণ ও অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য আমাদের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেনঃ
কনসালন্টেট, অকুপেশনাল থেরাপি ও ইন্চার্জ অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা সেবা
শিশুবিভাগ, সিআরপি, সাভার, ঢাকা।
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১১০৩৯৪৮৬
ইমেইলঃ সশৎধযধঃ@ুধযড়ড়.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।