পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সময়ের পরিক্রমায় মানবসভ্যতা সমৃদ্ধ হচ্ছে। বাড়ছে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের পরিধি। বাড়ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। যুগের প্রবাহমান ধারায় আদিমতার খোলশ ছেড়ে মানবজাতি পরিণত হয়েছে সভ্য সমাজের ধারক এবং বাহকে। সভ্য ও সুস্থ সমাজ ব্যবস্থায় বিকশিত হয়েছে মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা। মানুষের চিন্তা, চেতনা, কৃষ্টি, শিক্ষা, মেধা, মননের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে মূল্যবোধ। একটি সমাজকে সুসংহত রাখে সামাজিক নিয়ম-কানুনের বিষয়গুলো। কিন্তু নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধের বলয়ে এসেছে পরিবর্তনের হাওয়া। যখন প্রবাহমান ধারাগুলো অসংগতিপূর্ণ পরিবর্তনে ব্যাহত হয় তখনই নেমে আসে সমাজ-রাষ্ট্রে অবক্ষয়ের করাল গ্রাস। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অশুভ প্রয়াস এবং অপশক্তির তান্ডবতা।
শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নারী নির্যাতন, খুন-খারাবি সহ নানা প্রশ্নবোধক ঘটনায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের দূরভিসন্ধি যে নেই তা বলা যাবে না। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রগতির অগ্রযাত্রা এরা চায় না। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে উন্নত দেশের কাতারে নিজের অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে তা বাধাগ্রস্ত করতে অপশক্তি তৎপর। বর্তমান সময়ে সমাজে ঘটছে অন্যায়, অত্যাচার, খুন, রাহাজানি, অনৈতিক কর্মকান্ডসহ অসংগতিপূর্ণ জীবনাচার, যা উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অকল্যাণকর, অশুভ প্রয়াসে তরুণ-যুবকের অন্ধকার পথে ধাবিত করার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। প্রতিনিয়ত তারুণ্যের শক্তিকে বিপথে পরিচালিত করে স্বাধীন দেশে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অথচ এই তরুণ-যুবরাই এদেশের বড় সম্পদ। এরা বিভ্রান্ত হয়ে বিপথে পরিচালিত হয়ে জাতির জন্যে বয়ে আনছে বদনাম। এহেন অশান্ত পরিবেশ, পরিস্থিতি আমাদের প্রগতির সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে কঠিনতম দুঃসময়ের অচেনা পথের কিনারায় ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। বিপথগামী কিছু তরুণের জন্য এদেশের সৃজনশীল প্রাণশক্তিতে ভরপুর, সূর্যের প্রদীপ্ত কিরণে অপরিমেয় শক্তিধর তারুণ্যের চরিত্রে কালিমা লেপন করা যাবে না। এদেশের অধিকাংশ তরুণ সকল জীর্ণতা, হীন মানসিকতাকে পিছনে ফেলে জড়তা ও জীবনবিরোধী প্রথা ও অন্ধ বিশ্বাসকে গুড়িয়ে দিতে মহাসাগরের উর্মিমালার প্রবল ঢেউয়ে সমাজের অসংগতি ও প্রতিবন্ধকতার প্রাচীর ভাঙ্গার দুঃসাহসী সৈনিক। অরুণ প্রাণের তরুণ যুবজীবন যেখানে সক্রিয়, সেখানে সৃষ্টি হয় ছন্দময় স্ফুলিঙ্গ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই তরুণ। তরুণরাই প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা অটল, অনুপম সুন্দরের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত¡া, মুক্তবুদ্ধির আলোয় নবযাত্রার অভিলাষী। তরুণরাই তৈরি করে সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এদেশের তরুণ-যুবারাই অগ্রণনী ভূমিকা রেখেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় অংশীদার তরুণ ও যুব সমাজ। তাদের ইস্পাতদৃঢ় মনোবল, দুর্জয় স্বপ্ন-সাহসে গড়ে উঠবে আলোকিত বাংলাদেশ। তরুণদের উচ্ছল প্রাণশক্তির বাধভাঙা জোয়ার সমাজদেহের সকল কলুষতা, নষ্ট চিন্তার ষড়যন্ত্রকে ধুয়ে মুছে দিয়ে সৃষ্টি করবে নতুন জগত। নতুনপথের অভিযাত্রায় শামিল হবে অযুত তারুণ্যের জয়যাত্রার মিছিল। যাদের আছে চেতনাদীপ্ত প্রজ্ঞা, আলোকিত ভবিষ্যতের হাতছানি। তরুণদের সম্মুখে বিস্তীর্ণ মহাকাশ, প্রযুক্তির নবতর আবিস্কারের আহবান, ঋদ্ধ জীবন গঠনের অবারিত খোলা বাতায়ন। এতো সব সত্য-সুন্দরের পথের যাত্রায়ও তরুণরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সমাজের নেতিবাচক পরিবেশের কালো থাবায়।
আজকের অস্থিতিশীল সময়ের বাস্তবতায় তরুণ সমাজ মোটেই নিরাপদ নয়। দুষ্ট চক্রের লক্ষ্য ভেদী নিশানা যখন মেধাবী তরুণ, তখন তরুণদের মনের আকাশে মেঘ জমে সুনামির ক্ষিপ্রতায় সব কিছু লন্ড-ভন্ড করে দেয়। তারুণ্য বিপথগামী হওয়ার কারণ হিসাবে দেখা যায়-অবাধ তথ্য প্রযুক্তি, মাদক আগ্রাসন, কুশিক্ষা, দুর্নীতি, উগ্রবাদ, অপসংস্কৃতি, ক্রীড়াবিমুখতা, পারিবারিক কলহ। প্রজন্ম মুখোমুখি হয় আরও কঠিন সময়ের। তরুণরা অন্ধবিশ্বাসে প্রলোভিত হয়ে জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে, মানবতাবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ধ্বংসাত্মক অপকর্মে। কিন্তু দেশের গোটা তরুণ সমাজ এহেন সমাজবিরোধী, জীবনবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত নয়। যারা জড়িত তারা তরুণ্যের অপচ্ছায়া। তারা ক্ষয়িষ্ণু নষ্ট-ভ্রষ্ট চিন্তার অপশক্তি। মুষ্টিমেয় কিছু তরুণ সুন্দর সাবলীল পরিবেশকে দুষিত করছে। হরন করছে নিরীহ জনগনের শান্তি ও স্বস্তি। রাষ্ট্রের সার্বিক নিরাপত্তাকে করছে বিঘিœত। তরুণদের এই বিচ্ছিন্ন অংশ গোটা জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের চোখের সামনে তরুণ প্রজন্মের ধ্বংসযজ্ঞের করুণ কাহিনী লেখা হচ্ছে। দেশের তরুণদের বিপথগামীতায় আমরা ভাবনার অতলে তলিয়ে যাচ্ছি। তরুণ-যুবক সম্প্রদায় কেন আলোর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গভীর অন্ধকারে পথে পা বাড়াচ্ছে? কোন অন্ধবিশ্বাস, অলীক, অসত্য দর্শন তাদের তাড়িত করছে? কেন টগবগে তরুণ প্রজন্ম ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে পিতা-মাতার অকৃত্রিম ¯েœহ মমতা থেকে? কেন অজেয় শক্তি ও মেধাসম্পন্ন তরুণ মাদকাসক্ত হচ্ছে? কেন নানা অপকর্মে প্ররোচিত হচ্ছে? ভয়ংকর ব্যাধি বাসা বেঁধেছে তরুণদের হৃদয়ের অলিন্দে, মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কের কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে নষ্ট কীট। কেন তরুণরা প্রভাবিত হচ্ছে গড ফাদারদের প্ররোচনায়?
তরুণরা অসৎ সঙ্গের প্রভাবে কৌতুহল বশে, মানসিক অশান্তিতে, অসচেতনতায়, বেকারত্ব ও হতাশায় পা বাড়াচ্ছে ভুলপথে। তরুণদের ভুলপথ থেকে উদ্ধারে পরিবারের ঐকান্তিক সচেতনতা মুখ্য। পাশাপাশি সমাজের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, শিক্ষক সমাজের, রাষ্ট্রের ভূমিকাও জরুরি। জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবারের গন্ডিতে বেড়ে ওটা শিশু থেকে তরুণের আবেগ অনুভূতি, সামাজিক নীতিবোধ, আদর্শ, মনন, শিক্ষা, সময়, চরিত্র, মেধাকে যথাযথভাবে প্রতিপালনে গুরুত্ব দেয়া উচিত। তরুণদের দুরন্ত সময়টা খুবই কঠিন সময়। এ সময় পিতা-মাতাকে নিজেদের ব্যক্তিত্ব দিয়ে, সুন্দর পথে চলার পথ নির্দেশনা দিয়ে সন্তানকে মনস্তাত্বিক পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। নইলে সন্তান বহির্মুখী চিন্তাচেতনায় মূল লক্ষ্য থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পিতা-মাতা সন্তানের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েই নিশ্চিত মনে থাকলে সেটিই হবে বড় ভুল। তরুণরা চঞ্চল, ঝর্ণার মতো উচ্ছল। ছুটে চলার দুরন্ত সময় তরুণ সন্তানদের পিতা-মাতার ইতিবাচক আচরণ, সুচিন্তিত মতামত, পরামর্শ, জীবন গঠনের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া দরকার। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিচর্যায় নিয়োজিত শিক্ষক সমাজের ধ্যান-ধারণা, বাস্তববোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এদেশের শিক্ষক সমাজ যুগে যুগে শ্রদ্ধার আসনে আসীন। শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থী-বিদ্যার্থীরা সন্তানতুল্য, ¯েœহাস্পদ। নরম কাদামাটিসদৃশ শিশু-কৈশোর, তরুণ বয়সে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ পরিচর্যায় গড়ে উঠে। শিক্ষা নেয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ আদর্শের অপরিহার্য, মানবিক গুণের আচরনীয় দীক্ষা যেখানে নেই। অন্ধবিশ্বাস, অসত্যভাষণ, কুপমন্ডুকতা, গোঁড়ামি, অপসংস্কৃতি শিক্ষকদের প্রকৃত শিক্ষার আলোয় সেখানে অবধারিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, উচ্চতর বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে গড়ে ওঠে তরুণরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জ্ঞানের প্রসারতা একজন তরুণ শিক্ষার্থীকে দিতে পারে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, সংকীর্ণ মানসিকতাবিহীন পথের নির্দেশনা। উচ্চশিক্ষা আলোয় বেড়ে ওঠার পরও অনেকে জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদে। অপশক্তি গ্রাস করে উজ্জীবিত তারুণ্যকে। এ তরুণদের বিপথগামী হওয়ার পেছনে কিছু শিক্ষকের ভূমিকা থাকে বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। কিছু উগ্র চিন্তার শিক্ষকের জন্য দেশের গুণী শিক্ষক সমাজকে দোষী করা সমীচিন নয়। শিক্ষকদের প্রকৃত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা অতীব জরুরী। শিক্ষক উন্নত জ্ঞান, উদ্ধাবনী শক্তি, সৃষ্টিশীল গবেষণা, শিক্ষাদান, সামাজিক দায়বদ্ধতা, বিশ্বজনীন ভাবধারায় নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের আত্মমর্যদা সম্পন্ন নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলবেন। কারণ তরুণদের রয়েছে মেধা, সৃজনশীলতা। তাদের নতুন পথের দ্বার খোলা। এই তরুণ সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের ৫ কোটি তরুণের প্রায় অর্ধেক বেকারত্বের নিদারুণ দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। এটা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। এতে সমাজে বাড়ছে হতাশা, অস্থিরতা, নৈরাজ্য সামাজিক অপরাধ। শিক্ষিত তরুণ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে, অপরাধপ্রবণতায়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বেকার সমস্যা নিরসনে দ্রæত পদক্ষেপ নিলে ক্ষয়িষ্ণু তরুণদের সামাজিক অপরাধপ্রবণতা, উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন থেকে রক্ষা করা যাবে। সর্বোপরি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরুণরা উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করবে। তারুণ্যের শক্তির ওপর আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির আকাঙ্খা আকাশ ছোঁয়া। আমরা দেখতে চাই তারুণ্যের প্রখর চৈতন্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। তারুণ্যের প্রলয় বেগে অশুভ চেতনা, অপশক্তির ব্যর্থ অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। অস্থির সময়ের ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া তরুণ-তরুণীদের ফিরিয়ে আনতে হবে অবক্ষয়ের বলয় থেকে। স্বার্থপর, দেশ-বিরোধী শক্তির কবল থেকে রক্ষা করে প্রগতির পথে নতুন শপথে দীক্ষা দিতে হবে তরুণদের। তারুণ্যের প্রয়োজন উপযুক্ত পরিচর্যা। প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যতœ নিতে পারলেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট কেটে যাবে বলে বিশ্বাস রাখছি। দেশের প্রতিটা নাগরিক চায় সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ, সুন্দর জীবন গঠন এবং নাগরিকদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা। যেখানে থাকবে না কোনো হতাশা, নিরাশা আর অনুশোচনা। তরুণদের মানসিক বিকাশে সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে প্রেরণা যোগাতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে অপরাজনীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, অবক্ষয়ের যাতাকল থেকে রক্ষা করতে হবে সামষ্টিক প্রচেষ্টায়, আন্তরিক পরিচর্যায়। এর সাথে ব্যক্তি, পারিবারিক পরিচর্যা, সচেতনতা, সমাজ চেতনতা, শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ববোধ, রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ দায়বদ্ধতা প্রয়োজন। দেশের ভাবমর্যাদা ফিরিয়ে আনার মানসে প্রত্যেক নাগরিককে যে যে অবস্থানে আছেন নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবদান রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই তরুণরা খুঁজে পাবে আগামীর সুখময় ভবিষৎ।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।