Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্দরে বাবু হত্যাঃ কাউন্সিলর আশাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২২, ৮:১৩ পিএম

বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতা নিলয় আহমেদ বাবু(৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু কাউসার আশাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (৪মে) নিহতের মা লিলি বেগম রাতে হত্যা, হুকুম ও গুমসহ বিভিন্ন ধারায় এ মামলাটি রুজু করা হয়।

আসামীরা হলেন, নবীগঞ্জ লতিফ হাজীর মোড় এলাকার সাবেক এমপি এড. আবুল কালামের পুত্র তথা নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা(৩৮), নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার আমিনুল (৫৫), হাসিনা বেগম (৪৫),শিপলু (৩২), আফজাল(২২), জিপু(২৬), শহিদুল ইসলাম শইক্কা(৫০), সিরাজুল ইসলাম(৪৫), হাসান(২৬), সোবহান(৩৫)।

এজহার সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত হাসিনা বেগমের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে নিহত বাবু’র বিরোধ চলছিলো। এতে করে হাসিনা বেগম কিছুদিন পূর্বে বাবু’র বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার তদন্তভার নেয় বন্দর ফাঁড়ি এস আই রওশন ফেরদৌস।

পরে এ ঘটনার মিমাংসার জন্য নাসিক’র ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা দায়িত্ব নেন। পরে নিহত বাবুকে কাউন্সিলর অফিসে ডাকা হলেও তিনি সেখানে উপস্থিত হননি।

পরবর্তীতে কাউন্সিলর আশার হুকুমে গত ৩০ এপ্রিল রাতে সাড়ে দশটায় উল্লেখিত আসামিরা বাবুকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিতে চায়।

এতে করে বাবু দৌড়ে পালাতে চাইলে বাগবাড়ি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে যায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আসামীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে চলে যায়। এবং পরবর্তীতে লাশ ঘুম করতে মিথ্যা প্রচারণা চালায়।

নিহত বাবুর পরিবারের ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হাসিনা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার রাত ৯টার দিকে বাবুকে ধরতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পরে তাকে না পেয়ে পুলিশকে পুজি করে কাউন্সিলর আবুল কায়সার আশার লোকজন বাবুকে ধাওয়া দিলে বাবু নিজেকে বাচাতে বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাপ দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ বাবু।

নিখোঁজ বাবুর মা লিলি বেগম গত ২ রা মে থানায় নিখোঁজ জিডি এন্টি করেন। ৪দিন পর বুধবার বিকালে ডোবায় তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। এবং অভিযোগকারি হাসিনা সহ দুইজনকে আটক করে নিয়ে যান।

নিহত বাবুর মা লিলি বেগম জানান, আমার বাবুকে কাউন্সিলর আশা মেরে ফেলল। আ’লীগ সরকারের দল করে বিএনপির লোকজনের হাতে খুন হল আমার ছেলে। ওরা আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে ইট নিক্ষেপ করে মেরেছে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। বিএনপির কাউন্সিলর আশা ও হাসিনাগংদের ফাসি চাই।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন ফেরদৌসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত নারী সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ