Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দৌলতদিয়ায় ঘরমূখো মানুষের চাপ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৪:১৩ পিএম

পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মস্থল ছেড়ে বাড়ী ফিরতে মানুষ। ফলে ঘরমূখো মানুষের চাপ বাড়ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। শনিবার ভোর থেকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় ঘরমূখো মানুষের চাপ দেখাযায়। এ সময় ফেরিতে যাত্রীবাহি পরিবাহনের পাশাপাশি মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানে ফেরি ঘাটে আসছে যাত্রীরা। এছাড়া লঞ্চেও রয়েছে ঘরমূখো যাত্রীদের ভির। এদিকে দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে যাত্রীরা ভাড়া বিরম্বনায় পড়েছেন। লোকাল রুট দৌলতদিয়া টু রাজবাড়ী, পাংশা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ সহ বিভিন্ন রুটের চলাচলকারী বাস, মাহেন্দ্রা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। সেই সাথে প্রশাসনের নজরদারির অভাব বোধ করছেন যাত্রীরা।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকা ঘুরে দেখাযায়, প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি ও লঞ্চে করে রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে যাত্রীরা। প্রতিটি ফেরিতে বাস, প্রাইভেটাকারের পাশাপাশি উল্লেখ্য হারে মোটর সাইকেল পরিবারের সদস্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করে দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাট গুলোতে ভিরছে। একই চিত্র পাটুরিয়া থেকে ছেরে আসা লঞ্চ গুলোতে। দৌলতদিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত। ফেরি ও লঞ্চে আসা লোকাল যাত্রীরা ঘাটে নেমে রিক্সা, ইজিবাইক ও পায়ে হেটে বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছে। সেখান থেকে স্বাভাবিক সময়ে চেয়ে দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া দিয়ে বাস, মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্রা ও মোটর সাইকেলে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। অতিরক্তি ভাড়া আদায়ের সচেতনতামুলক মাইক ও ব্যানার দেখা গেলেও প্রশাসনের উপস্থিতি তেমন দেখা যায় নাই। বর্তমানে এরুটে ছোট বড় ২১ টি ফেরি ও ২১ টি লঞ্চ চলাচল করছে।
জানাগেছে, স্বাভাবিক সময়ে দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ীর ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু এখন যাত্রীদের থেকে নেয়া হচ্ছে ১ থেকে দেড়শ টাকা। পাংশার ৮০ থেকে ৯০ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে দেড় থেকে ২শ টাকা। কুষ্টিয়ার আড়াই থেকে তিনশ টাকা। এবং ফরিদপুরের ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১শ টাকা। এছাড়া অন্যান্য রুটেও বাড়তি বাড়া নেচ্ছে।
ঘরমূখো যাত্রী আবুল বাশার, হেলাল খাসহ একাধিক যাত্রীরা বলেন, নারায়নগঞ্জ, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা বাড়তি ভাড়া দিয়ে এসেছেন। কিন্তু দৌলতদিয়ায় এসে তারা ভাড়ার কথা শুনে অবাক। যে ভাড়া ৫০ টাকা ছিলো, সে ভাড়া এখন ১ থেকে দেড়শ। এভাবে প্রতিটি রুট রাজবাড়ী, পাংশা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য স্থানের ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় তিন দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। তারপর ঈদ বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিছু মনে হচ্ছে না। তবে ঈদে ভাড়া বাড়ে, কিন্তু অতিরিক্ত হারে বাড়লে কষ্ট হয়। মাহেন্দ্রা চালক রাকিব ও ইজিবাইক চালক আছিফ সহ একাধিক চালকরা জানান, ঈদের সময় তারা একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। তবে নিদ্দিষ্ট না, যার কাছ থেকে যেমন পারছেন। তেমনি নিচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভাড়া নির্ধারনের বিষয়ে তাদের সু-নিদ্দিষ্ট চার্ড নাই।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক খান বলেন, ঘাট ও টার্মিমাল এলাকায় তাদের প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা কাজ করছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সু-নিদ্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ পান নাই । তারপরও বিষয়টি তিনি নিজে পর্যালোচনা করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাড়া

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ