মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় বুধবার থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। উভয় দেশই রুবেলে জ্বালানি সরবরাহের জন্য অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করার পরে রাশিয়া এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, রাশিয়ান জ্বালানি কর্পোরেশন গ্যাজপ্রম নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ‘রুবেলে অর্থ প্রদানের অনুপস্থিতির কারণে গ্যাজপ্রম বুলগারগার্জ (বুলগেরিয়া) এবং পিজিএনআইজি (পোল্যান্ড) গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করেছে।’
মঙ্গলবার পোল্যান্ড একটি নোটিস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গ্যাসপ্রোমের সেই নোটিসে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে পোল্যান্ডে আর গ্যাস পাঠানো হবে না। ইয়ামাল পাইপলাইনের সাহায্যে গ্যাসপ্রোম পোল্যান্ডে গ্যাস পাঠায়। বুধবার থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার সে কাজ শুরু করে দিল রাশিয়া। পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় গ্যাস দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে।
রাশিয়ার গ্যাসের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল পোল্যান্ড। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ইউরোপের অনেক দেশের মতোই পোল্যান্ডও বিকল্প এনার্জির ব্যবস্থা শুরু করে। মঙ্গলবার গ্যাসপ্রোমের নোটিস আসার পরে পোল্যান্ডের এনার্জিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেছে। রাশিয়া গ্যাস না দিলেও অন্য জায়গা থেকে শক্তি উৎপন্ন করা এবং নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়েছে। একদিনের জন্যেও পোল্যান্ডের মানুষ গ্যাসের অভাব বোধ করবেন না। গ্যাস স্টোরেজ ৭৫ শতাংশ পূর্ণ বলেও দাবি করেছে পোল্যান্ডের প্রশাসন।
বুলগেরিয়ার মন্ত্রীও জানিয়েছেন, তাদের কাছে মঙ্গলবার একইরকম নোটিস এসেছে। শর্ত না মানলে বুধবার থেকে সেখানেও গ্যাস সরবারহ বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। বুলগেরিয়া সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। তবে তারাও জানিয়েছে, গত কিছুদিনে বিকল্প ব্যবস্থা তারাও গড়ে তুলেছে।
রাতারাতি কেন গ্যাস দেয়া বন্ধ করা হচ্ছে নোটিসে স্পষ্ট করে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে রাশিয়ার সংবাদমাদ্যম গ্যাসকমের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার শর্ত না মানার জন্যই একাজ করা হচ্ছে। রাশিয়ার শর্ত ছিল, রুবেলে গ্যাস কিনতে হবে ‘অবন্ধু’ দেশগুলিকে। অবন্ধু অর্থাৎ, যুদ্ধে যারা রাশিয়ার পাশে নেই অথবা সরাসরি ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। পোল্যান্ড সরাসরি ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনের বাস্তুহারা পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
বস্তুত, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই রাশিয়া রুবেলে গ্যাস ও তেল কেনার কথা বলেছিল। ইউরোপ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ইউরোপের একাধিক দেশ জানিয়েছিল, গ্যাস ও তেল সংক্রান্ত যে চুক্তি রাশিয়ার সঙ্গে আছে, রুবেলে দাম দিতে গেলে সেই চুক্তি ভঙ্গ হবে। সেই ঘটনার পর এই প্রথম রাশিয়া এবিষয়ে এত কড়া পদক্ষেপের কথা জানালো।
বুলগেরিয়া জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত নেয়া তেলের দাম তারা মিটিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন রাশিয়া এমন নোটিস পাঠিয়েছে, তা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস এবং তেলের দাম নির্ধারিত হয় ডলারে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে রুবেলের দাম ধরে রাখতে চাইছেন পুতিন। সেকারণেই রুবেলকে গ্যাস এবং তেলের দামের সূচকমূল্য হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি। আন্তর্জাতিক বাজার অবশ্য এখনো তা মেনে নিতে রাজি হয়নি। তারপরেই এত বড় পদক্ষেপের ঘোষণা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।