পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1722054977](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে এই কারখানা দুটিতে শনিবার থেকে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভায় গ্রীষ্মকালে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবিকে নির্দেশ দেয়া হলে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ না হলে তাদের পক্ষে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলাকে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলা হলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্যাসের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়েনি। কাজেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে এক খাতের গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আরেক খাতে বাড়াতে হবে। এ অবস্থায় গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এর আলোকে শুক্রবার থেকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিসিআইসি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল থেকেই ১ হাজার ৪২২ ও ৩০৫ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঘোড়াশাল সার কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রদীপ কুমার মজুমদার নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরই কৃষি মৌসুমে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে গ্রীষ্মকালে সার কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে কারখানা দুটিকে ব্যাপক লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিসিআইসি’র তথ্যানুযায়ী, ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৪২২ মেট্রিক টন। পলাশ সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ৩০৫ মেট্রিক টন। বন্ধের পূর্ব মুহূর্তে দৈনিক কারখানা দুটিতে যথাক্রমে ৯৫০ ও ৩০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করা হতো। কারখানা দুটির উৎপাদন বিভাগ থেকে জানা যায়, চলতি বছর দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৮ লাখ টন নির্ধারিত হলেও বিসিআইসি তাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টন।
এ ব্যাপারে কারখানার সিবিএ নেতারা জানান, কবে নাগাদ কারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি। তারা বলেন, কারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ করে উৎপাদন শুরু করা না গেলে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে। ফলে দেশে ইউরিয়া সারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ উৎপাদন ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্যে সার আমদানি করতে হতে পারে। এর ফলে প্রতি টন সার আমদানিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে।
তিতাসের ঘোড়াশাল সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় দৈনিক ৪২ মিলিয়ন ঘনফুট ও পলাশ সার কারখানায় ১৩ মিলিয়ন গ্যাসের প্রয়োজন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।