পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস-ভাতা পায়নি ১২৫ পোশাক কারখানার শ্রমিক। এতে করে বেতন-বোনাসের দাবিতে এসব কারখানার শ্রমিকরা যে কোন সময় ফুঁসে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ টঙ্গী-গাজীপুর এলাকার গার্মেন্টস কারখানাগুলো এবং সবচেয়ে বেশি ভালো অবস্থায় রয়েছে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ। কারণ ইতোমধ্যে বেতন-বোনাসের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ পোশাক কারখানাগুলো অবস্থিত এমন সব জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন শ্রমিকরা। মালিক পক্ষ ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বড় ধরনের শ্রম অসন্তোষ তৈরি হতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পুলিশের করা ওই প্রতিবেদনে যেসব কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে সঙ্কট তৈরি হতে পারে-তার একটি তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর ও অধিদফতের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাতটি সুপারিশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নেও জোর দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদের আগে বরাবরই অস্থিরতা বিরাজ করে দেশের শিল্প অধ্যুষিত এলাকার কারখানাগুলোয়। ঈদের আগেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত ১২৫টি কারখানা বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ নিয়ে কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি। সম্প্রতি সরকার-মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের আগে এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতনসহ ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে। ওই সময় পোশাকসহ বেশির ভাগ সেক্টরের মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে তারা সরকার নির্ধারিত ছুটির আগেই বেতন ও বোনাস পরিশোধ করবেন। তবে এপ্রিলের ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উৎসব ভাতা পরিশোধ করেনি ৬৫ শতাংশের বেশি কারখানা, সংখ্যার হিসাবে যা ৬ হাজারের বেশি। এলাকাগুলোর কল-কারখানায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকিতে নিয়োজিত শিল্প পুলিশ বলছে, সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যদিও গতকাল কিছু কারখানা বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়েছে। তারপরও এ সংখ্যা এখনো অনেক।
টঙ্গী ও গাজীপুর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ॥ বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ১২৫টি কারখানার মধ্যে টঙ্গী-গাজীপুর এলাকায রয়েছে ৬৫টি কারখানা। এ কারণে এ অঞ্চলে অতিরিক্ত শিল্প পুলিশ মোতায়েন করেছে সরকার। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরই ঢাকা মহানগরীতে ১৭টি, সাভার আশুলিয়া এলাকায় ১৭টি এবং নারায়ণগঞ্জে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভাল অবস্থায় রয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এখানে মাত্র ৩টি পোশাক কারখানা বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরপরই ময়মনসিংহে ৬টি কারখানায় বেতনভাতা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিশেষ প্রতিবেদনে। শিল্প পুলিশের আওতায় থাকা কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ পোশাক খাতের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।