পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের প্রতিবাদের জায়গা শুধু প্রেসক্লাব নয়; ঢাকা শহরের কমপক্ষে শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আছে সেখানেও প্রতিবাদ করতে হবে। এই আন্দোলন নিজ নিজ এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে। বড় রাস্তা, ছোট রাস্তা,অলিগলি পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে দিতে হবে। সব জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে। তা না হলে যে লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তা দুরূহ হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং পার্লামেন্ট বাতিল করা না হলে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশের জনগণ ভোট দিতে পারবে না। সেই কারণে বিএনপির সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোনো প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। নিউমার্কেটে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ঢাকাসহ সারাদেশের মহানগরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফৎ আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা এখানে আজ প্রতিবাদ করছি নিউমার্কেটের ঘটনার জন্য। ঢাকা শহরের যত মার্কেট আছে সব মার্কেটেরই বেহাল অবস্থা। এখানে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেছে, সেকারণে মারামারি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর চাঁদা দিয়ে যাচ্ছে। আজকে শেখ হাসিনা ছাত্রদের লেখাপড়ার সুযোগ দিক বা না দিক কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের মধ্যদিয়ে অর্থলুট করছে।
এই সরকার দেশে লুটপাট ও দুর্নীতির অভয়রণ্য তৈরী করেছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচারও করে হয়নি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যত মামলা হয়েছে, প্রত্যেকটা মামলার আইও আছে। তাদের বাড়ি ঘরের ঠিকানা কিন্তু সবাই জানে। শেখ হাসিনা চিরকাল না। আর কতকাল তাও বলতে পারি না। তবে, আর সম্ভব নয়। কারণ, দেশী-বিদেশীরা শেখ হাসিনার প্রতারণা বুঝতে সক্ষম হয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি’ এই আন্দোলন আমাদের চলমান। কখন বেগমান হবে, তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় দল, জনগন ও কর্মীদের সেন্টিমেন্ট বুঝে রাজনৈতিক কথা-বার্তা বলবেন। এবং এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে নেতাকর্মীরা আপনাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখে। দলের মধ্যে কেউ যেন গণদুষমনের তালিকা ভুক্ত না হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।