মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। এদিনে নির্বাচনেই নির্ধারণ হবে ইউরোপীয় ঘেঁষা মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ নাকি উগ্র ডানপন্থী অভিবাসন বিরোধী মেরিন লা পেন পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ফ্রান্সের শাসন ক্ষমতায় বসবেন।
মতামত জরিপগুলোতে অবশ্য ম্যাখোঁকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এবার তার অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে। সে সময় ম্যাখোঁ ৬৬.১ শতাংশ ভোটে লা পেনকে পরাজিত করেছিলেন। এবার ক্ষীণ হলেও লা পেনের জেতার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ভোটাররা কাকে সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন বা ভয় পান? কোনো প্রার্থীরই ক্ষমতায় যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সমর্থক নেই। তাই এখানে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের জন্য মূল বিষয় হলো ভোটারদের বোঝানো যে অন্য প্রার্থী আরো খারাপ। তাই ম্যাখোঁ উগ্র-ডানপন্থীদের ব্যাপারে ভয় ঢুকিয়ে তার পক্ষে ভোটারদের টানতে পারেন। অন্যদিকে লা পেন ক্ষমতায় থাকাকালে ম্যাখোঁর নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে নিজের কোর্টে বল ঠেলতে পারেন।
বামপন্থী ভোটারদের সিদ্ধান্তই হবে ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাখোঁর স্টাইল এবং নীতির প্রতি বামপন্থী অনেকেই হতাশ। তাই ২০১৭ সালের তুলনায় এবার বামপন্থীদের সমর্থন পাওয়া ম্যাখোঁর জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তিক্ত, বিভেদমূলক প্রচারণার পরে আজকের নির্বাচনে যিনিই জিতুন তিনি সম্ভবত অল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন।
ম্যাখোঁ যদি জয়ী হন, তবে দ্বিতীয় দফায় জনগণের মন জুগিয়ে চলা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এবার ভোটাররা পেনশনসহ ব্যবসা সমর্থক সংস্কার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার জন্য রাস্তায় নামতে পারেন। অন্যদিকে লা পেন বিজয়ী হলে ফ্রান্সের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নীতির আমূল পরিবর্তন হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। লা পেন জেতার পর অবিলম্বে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ক্ষমতায় আসলে প্রথমেই জনসমক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন।
বিদ্যুতের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পর ক্রয় ক্ষমতা ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লা পেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিষয়টিকে সফলভাবে সামনে এনেছেন। ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়। জনমত জরিপে প্রচারণা শুরুর দিকে ম্যাখোঁর ভালো অবস্থান থাকলেও শেষের দিকে তার ধস নামে। সমীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, ভোটাররা ম্যাখোঁর অর্থনৈতিক নীতিতে অসন্তুষ্ট। তবে বেকারত্ব কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অবশ্য যারা জরিপ পরিচালনা করেছেন তারাও মনে করেন না যে, তার বিরোধীদের মধ্যে কেউ ভাল করবে। করোনা মহামারি মোকাবেলায় ম্যাখোঁর কার্যক্রমও নির্বাচনে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। সূত্র : বিবিসি নিউজ, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।