Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিশালে আলোচিত ৩ খুনের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৩

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৪২ পিএম | আপডেট : ৮:৪৩ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২২

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক খুন ঢাকতে আলোচিত তিন খুনের ঘটনায় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের মূলহোতা জিলানী বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। এতে নিহতদের পরিবার গুলোসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামের আব্দুস সোবাহানের পুত্র বড় ছেলে মো: লাল মিয়া (৫০) ছোট ছেলে আব্দুল কাদের জিলানী (৪৭) ও আব্দুল কাদের জিলানীর পুত্র মো: রাকিবুল ইসলাম (২৭)।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আসামীদের বসত বাড়ির সামনের একটি বাঁশ ঝাড় হতে আবুল কালাম আজাদ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকান্ডের তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব-১৪।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় র‌্যাপিড এক্যাশন ব্যাটালিয়ান-১৪ (র‌্যাব) এর উইং কমান্ডার মো: রুকনুজ্জামান।
এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আলোচিত আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এই আসামীদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি।
র‌্যাব-১৪ মিডিয়া অফিসার ও পুলিশ সুপার মাসুরা বেগম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসামীরা স্থানীয় এলাকার কৃষকদের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে বিভিন্ন কোম্পানীর নিকট অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করত। এতে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় কৃষকরা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টারের কাছে গেলে তিনি ওই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করেন।
এতে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের জমি দখল বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে ২০১৮ সালে ৪ জুলাই বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টারকে গলা কেটে হত্যা করে ঘটনার মূলহোতা সন্ত্রাসী আব্দুল কাদের জিলানী ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞতদের নামে মামলা হলে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আব্দুল কাদের জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, সহযোগী মো: মোবারক হোসেনসহ ৮ জনকে আসামী করে চার্জসীট দেয়।
পরবর্তীতে আসামী জিলানী এই মামলা থেকে নিজের ভাই ও সহযোগীদের বাঁচাতে এবং স্থানীয়দের মধ্যে ভয় সঞ্চার করার জন্য স্থানীয় কাউকে হত্যা করে মতিন মাস্টার হত্যা মামলার সাক্ষীদের হাজিরা থেকে অনুপস্থিত রাখার পরিকল্পনা করে।
পরে সেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মতিন মাস্টার হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে আসা স্থানীয় মাদরাসার দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল রাতে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলাটিও পুলিশ তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটনের করে আব্দুল কাদের জিলানীসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।
র‌্যাব আরও জানায়, দপ্তরি রফিকুল হত্যা মামলার স্বাক্ষী ছিল সর্বশেষ খুন হওয়া আবুল কালাম আজাদের ভাতিজা সোহাগ মিয়া। আগামী ২৪ মে দপ্তরি হত্যা মামলায় আদালতে স্বাক্ষী থাকায় আসামীরা সোহোগ মিয়াকে হুমকি দিয়ে পূর্বের দুই মামলার স্বাক্ষীদের হাত-পা কেটে ফেলার ঘোষনা দেয়।
গত ১৪ এপ্রিল সে পরিকল্পনা মতে সাক্ষী সোহাগ মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আসামীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে ভাতিজাকে বাঁচাতে চাচা আবুল কালাম আজাদ এগিয়ে আসলে আসামিরা তাকে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে বলে জানান র‌্যাব-১৪।
এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা, ছিনতাই,ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে বলেও জানান র‌্যাব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ