২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন ও সংযোজনের মাধ্যমে মরণব্যাধি ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এরমধ্যে অন্যতম হল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বিশেষজ্ঞরা এমনটিই মানছেন। তাদের মতে খাদ্যতালিকায় কিছু ভেষজ এবং মশলা রাখলে ক্যান্সারকে থেকে দূরে রাখা সম্ভব। তাহলে জেনে নিন, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে যেসব ভেষজ এবং মশলা নিয়মিত খাবেন-
হলুদ : হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ থাকে। যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্যান্সার প্রতিরোধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই হলুদ রাখুন।
রসুন : রসুনে অর্গ্যানোসালফার যৌগ নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। এই অর্গানোসালফার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং এতে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক গুণও রয়েছে। যা টিউমারের বিকাশ কমাতে কিংবা বাধা দিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত কাঁচা রসুন চিবিয়ে কিংবা তরকারি, মাছ, মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আদা : তাজা হোক কিংবা শুকনো, আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বিদ্যমান। নিয়মিত আদা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সক্ষম। তাই রান্নার পাশাপাশি ফলের রস, সুজি কিংবা চায়ের সঙ্গে আদা খাওয়ার করার চেষ্টা করুন।
গোলমরিচ : গবেষণায় দেখা গেছে, গোলমরিচে থাকা যৌগ শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ স্বাস্থ্যকর কোষগুলোকে ধ্বংস না করে ব্রেস্ট টিউমারের ক্যান্সারযুক্ত স্টেম কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। সুতরাং, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যতালিকায় গোলমরিচ যোগ করতে পারেন।
ওরেগানো : ওরেগানোতে কারভাকরোল নামক একটি অণু রয়েছে, যা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। যা ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে বেশি পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ওরেগানো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইতালীয় খাবার, যেমন - পিৎজা এবং পাস্তাতে ব্যবহার করা হয়।
থাইম: ওরেগানোর মতো থাইমেও কারভাকরোল রয়েছে। থাইমও একটি অত্যন্ত উপকারী ভেষজ। এটি কারি, সবজি, সুপ কিংবা সস তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।