মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১০ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় ‘গৃহবন্দী’ ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীকে কানাডা সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে এই তরুণী বাবা-মাকে চোখের পানিতে ভাসিয়ে আদালত অঙ্গন ত্যাগ করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার গোলাম রাব্বানীকে নির্দেশ দেন তরুণীকে কানাডিয়ান হাইকমিশনে পৌঁছে দিতে। সেই সঙ্গে মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন আদালত। তরুণীর বাবা-মা সাক্ষাত করতে চাইলে সেই ব্যবস্থা করতে কানাডিয়ান হাইকমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশদানকালে কানাডিয়ান হাই কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার সারা হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তরুণীর বাবা-মায়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. অজিউল্লাহ। এ ছাড়া তরুণীর বাবা, এবং কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তরুণী আদালত অঙ্গন ত্যাগকালে মেয়েটির বাবাকে বার বার চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কানাডা হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশী বাবা-মায়ের সন্তান ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা, থাকা খাওয়ার খরচ বহনসহ সব ধরণের নিরাপত্তা দেবে কানাডা সরকার। হাইকোর্টকে লিখিতভাবে কানাডা হাইকমিশনের পক্ষে এ তথ্য জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
পরে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষে একান্তে মেয়েটির কথা শোনেন। গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় ‘গৃহবন্দী’ থাকা ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীকে হাজির করতে নির্দেশ দেন আদালত। মুগদা থানার পুলিশ ও তার বাবা-মাকে তরুণীকে হাজির করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ১৯ বছরের তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি।
রিটে বলা হয়, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সবসময় বাসায় বন্দী করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ড ফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনকে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।