মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের যুদ্ধে ‘শত্রু’ ব্লকে যুক্তরাজ্যের অবস্থানের কারণে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রীদের রাশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস সহ আরও ১০ জন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, যাদের বেশিরভাগই মন্ত্রিসভার সদস্য, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মস্কো বলেছে, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে মস্কো। নিষিদ্ধদের সম্পূর্ণ তালিকা হল: প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস, উপ-প্রধানমন্ত্রী লর্ড চ্যান্সেলর এবং সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর জাস্টিস ডমিনিক রাব, ট্রান্সপোর্ট গ্রান্ট শ্যাপ্সের রাজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল, চ্যান্সেলর ঋষি সুনক, উদ্যোক্তা, শক্তি এবং শিল্প কৌশল মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং, ডিজিটাল, সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া মন্ত্রী নাদিন ডরিস, সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী জেমস হেপি, স্কটল্যান্ডের প্রথম মন্ত্রী নিকোলা স্টারজন, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের অ্যাডভোকেট জেনারেল সুয়েলা ব্রাভারম্যান, কনজারভেটিভ এমপি এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রমুখ। একটি বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লন্ডনের লাগামহীন তথ্য এবং রাজনৈতিক প্রচারণার উদ্দেশ্য রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা। ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের চারপাশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। কিয়েভ সরকারকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে উৎসাহিত করছে এবং ন্যাটোর পক্ষ থেকে অনুরূপ প্রচেষ্টার সমন্বয় করছে। যুক্তরাজ্য সরকার আরও বলেছে, তারা এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও ইউক্রেনের সমর্থনেও অটল রয়ে গেছে। তারা দেশে রাশিয়ার ্রনিন্দনীয় কর্মেরগ্ধ নিন্দা করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে, ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শনিবার এক ফোনআলাপে এই প্রতিশ্রুতি দেন জনসন। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঠিক এমন সময়ে এ ঘোষণা দিলেন যখন রাশিয়া ভ্রমণে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনসন মারিউপোলের পরিস্থিতি নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শহরটিতে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসন রাশিয়ার ওপর জারি করা গত সপ্তাহ থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলেনস্কিকে অবহিত করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, আগামী দিনে সাঁজোয়া যানসহ আত্মরক্ষার জন্য উপায় সরবরাহ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।