নেছারাবাদে সরকারি হাসপাতালে মিলছে নামিদামি এন্টিবায়োটিকদামি দামি ঔষধ মিলছে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যেখানে পাচ থেকে সাত বছর পূর্বেও রোগীদের ভাগ্য জুটত নামমাত্র প্যারাসিট্যামল ও মেট্রোনিডাজল। সেখানে এখন বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে টাইফয়েড,নিউমনিয়া,কার্ডয়িয়াক ও হাপানি রোগীদের নামি দামি ঔষধ। সরকারি বন্ধ ব্যাতিরিকে এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ডাক্তার দেখিয়ে স্লিপের মাধ্যমে ফ্রী ঔষধ নিচ্ছেন রোগীরা। তবে এসব ফ্রী ঔষধ নিতে অনীহা রয়েছে মধ্যম আয়ের লোকেদের। তাদের অভিযোগ হাসপাতালের সরকারি ঔষধে মান খারাপ। ওই ঔষধ খেলে রোগ সারেনা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশেষকরে নিম্ন আয়ের মানুষেরা টিকিট কেটে ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রী ঔষধ নিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে এখান থেকে দেড়শ থেকে দুইশত রোগী ফ্রী ঔষধ নিচ্ছেন। তবে মধ্যম আয়েরা লোকেরা ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রী ঔষধ নিতে আগ্রহ করছেন না।
কথা হয়, উপজেলার স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের আউরিয়া গ্রাম থেকে আসা দিনমজুরের স্ত্রী রোজীনা বেগম(৩৫) এর সাথে। তিনি হাসপাতালে আসছিলেন জ্বর,পাতলা পায়খানা নিয়ে। তিনি ডাক্তার সাক্ষাত করে রোগের কথা বলেন। এসময় ডাক্তার তাকে মেট্রোনিডাজল, এজিথ্রোমাইসিন ও প্যারাসিট্যামল পেসক্রাইড করেন। রোজিনা স্লিপে লেখা ঔষধ কাউন্টারে দেখালে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্টোর কিপার ও ফার্মমাসিষ্ট উজ্জ্বল সিকদার সব ঔষধগুলো নিয়ম বুজিয়ে হাতে দেন। রোজীনা বলেন, আগে হাসপাতালে আসলে ঔষধ পেতাম না। ডাক্তার স্লিপে ঔষধ লিখে কাউন্টারে গেলেই বলত শর্ট সাপ্লাই। এখন শুনেছি হাসপাতালে নাকি সব ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই হাসপাতালে আসছি ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ পেয়ে আমি খুব খুশি। এজন্য ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে।
একই কথা বলেন, হাসপাতালে আসা উপজেলার জগতপট্টি গ্রামের নূরননাহার বেগম(৪৫)। তিনি বলেন, রোজার মাস পরছে থেকেই মাজায় খুবই ব্যাথা। শরীরে জ্বর জ্বর। শংকা নিয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালে এসে টিকেট কেটে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার সাহেব রোগের কথা শুনে ব্যাথা ও জ্বরের জন্য দামি ঔষধ দিয়েছে। যা সবই এখান থেকে পেয়েছি। হাসপাতালোর সেবার মানে আমি খুবই খুশি।
সরেজমিনে রোববার দুপুরে হাসপাতালে ঔষধ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, এজিথ্রোমাইসিন,সিফিক্সজিম,সেফুরোক্সজিম, সিপ্রোফ্লাসিন, ইসোমোপ্রাজল, এটোভাস্টারিন,এমলোডিপিন,সলবিউটল,প্যারাসিট্যামল সহ নামি দামি ঔষধ। এসময় উজ্জ্বল সিকদার বলেন, হাসপাতালে রোগীদের চাহিদামত নামি দামি ঔষধ ফ্রীতে দেয়া হচ্ছে। রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে স্লিপ দেখালে ডাক্তারদের প্রেসক্রাইড মত ঔষধ রোগীদের সেবনবিধি বুজিয়ে হাতে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এখান থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ জন রোগী ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রী ঔষধ নিচ্ছে। একইসাথে ভর্তিরোগীদের ইনডোর থেকে দেয়া হচ্ছে সাপ্লাইনুযায়ি সবরকমের ঔষধ। তিনি আরো বলেন, আগে রোগীরা হাসপাতালে আসলে চাহিদামত ঔষধ পেতনা। আমি রোগীদের চাহিদানুযায়ি জেলা সদর প্রয়োজনে ঢাকায় ঔষধ চাহিদাপত্র দিয়ে এখানে সব রকমের ঔষধ সরবারহ করি। এখানে সহজে কোন ঔষধের ঘাটতি হচ্ছেনা।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, এখানে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্লিপে রোগী দেখা হয়। রোগী দেখে রোগের বর্ননা শুনে হাসপাতালের সক্ষমতানুযায়ি এখান থেকেই ফ্রীতে নামি দামি ঔষধ দিয়ে দেয়া হয়। কোনটির শর্ট সাপ্লাই থাকলে বাহির থেকে কিনতে বলা হয়। তবে এখন হাসপাতাল থেকে দামি দামি প্রাই সবরকমের ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে।