পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণের যেকোন চিকিৎসার সুবিধার্থে দেশের ৬৯টি প্রাইভেট (বেসরকারী) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) মহাসচিব এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, সকালে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলে এসেছি। সরকারের পাশাপাশি দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে দেশের ৬৯টি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেবেন।
এসময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, আমাদের ২০ হাজার চিকিৎসক দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখন থেকে নিয়োজিত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা করোনা চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ছেড়ে দিয়ে করোনা সংক্রমিত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করব।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস এ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১১২ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে।
এসময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
তিনি বলেন, টেস্টের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা আক্রান্তের সংখ্যা বুঝতে পারছি যে আক্রান্তের শনাক্তের সংখ্যা। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গতকাল আমরা চীনের উহানের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি, তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করছি।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এর পর ১৮ মার্চ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৮২ হাজার জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।