Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডনবাস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪২ এএম

রাশিয়া তার সৈন্যদের কিয়েভ থেকে সরিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডনবাসের দিকে নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে এই যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষ্য, ইউক্রেনের এই প্রাচীন শিল্পাঞ্চলকে মুক্ত করা তার লক্ষ্য। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হবে? রুশ প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য অর্জনে ইতমধ্যে সৈন্যরা ডনবাস ঘিরে ফেলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ সব কথা জানা গেছে।

ডনবাসে রাশিয়ার নতুন করে সেনা শক্তি বাড়ানোর জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের প্রত্যেক মিটার জমির জন্য আমরা লড়াই করবো।

রুশ সৈন্যরা মারিউপোল শহরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইতোমধ্যে মানবিক বিপর্যয়ের সূচনা করেছে। মারিউপোলে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পরাজয় ঘটাতে পারেনি রাশিয়া।

ইউক্রেনের সবচেয়ে সু-প্রশিক্ষিত বাহিনীগুলোকে ইতোমধ্যেই পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ গত আট বছর ধরে সেখানে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। এটা বাস্তব যুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।

ডনবাস কোথায় এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ
প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন ডনবাসের কথা বলেন তখন তিনি ইউক্রেনের কয়লা এবং ইস্পাত-উৎপাদনকারী অঞ্চলের কথা উল্লেখ করেন। তিনি পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ দুটো অঞ্চল লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক-এর সমগ্র এলাকাকে বোঝান। এই এলাকা দক্ষিণের মারিউপোল বন্দর-শহর থেকে শুরু করে উত্তরে রুশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

ন্যাটো মনে করে রাশিয়া এই অঞ্চল দখল করে নেওয়ার মাধ্যমে দনিয়েৎস্ক থেকে ক্রাইমিয়া পর্যন্ত দক্ষিণ উপকূলে একটি স্থল করিডোর প্রতিষ্ঠা করতে চায়। রাশিয়া দাবি করছে যে তারা লুহানস্ক অঞ্চলের ৯৩% এবং দোনেৎস্কের ৫৪% এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

তবে ইউক্রেন এখনো হাল ছাড়েনি। পুরো অঞ্চলকে আয়ত্তে নিতে হলে রুশদের আরো লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। তিনি যদি একসময় বিজয় অর্জন করতেও সক্ষম হন, ওই অঞ্চল এতো বৃহৎ যে সেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ