মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এমনকী জোট নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনও ভাবছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার কথা। তারা আসন্ন গ্রীষ্মের শুরুতেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়া দেশ দুটিকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, এমন পদক্ষেপ ইউরোপে স্থিতিশীলতা আনবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ন্যাটো শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কোনও জোট নয়। এর আরও স¤প্রসারণ ইউরোপ মহাদেশের জন্য বাড়তি কোনও নিরাপত্তা বয়ে আনবে না।” মস্কো বরাবরই স্পষ্ট করে বলে আসছে, তারা ন্যাটো জোটের কোনওরকম স¤প্রসারণের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনকেও ন্যাটো জোটে সামিল না হতে এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া। ওদিকে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটো সদস্য না হলেও জোটটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তবে সদস্যপদ না থাকায় আক্রান্ত হলে ইউক্রেনের মতো তারাও সরাসরি ন্যাটো সুরক্ষা পাবে না। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনে। সুইডিশ ক্ষমতাসীন স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আগে ন্যাটোতে যোগদানের বিপক্ষে থাকলেও এখন তারা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। পার্র্টি সেক্রেটারি স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সম্পন্ন হওয়া উচিত। সোমবার এক বিবৃতিতে স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বলেছে, “রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরই নিরাপত্তার প্রশ্নে সুইডেনের অবস্থান আমূল বদলে গেছে।” ওদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযানের ‘বড় ধরনের কৌশলগত ভুল’ করার মধ্য দিয়ে ন্যাটো স¤প্রসারণের সম্ভাবনাকেই আরও বাড়িয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রও আগেই এ জোটে আরও দেশকে সামিল করার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। বিবসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আশা করছেন, নরডিক প্রতিবেশী দেশগুলো সম্ভব হলে আগামী জুনের মধ্যেই ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার উদ্যোগ নেবে। এমন হলে ন্যাটোর সদস্যসংখ্যা বেড়ে ৩২ হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সায় আছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর গত সপ্তাহে বলেছে, ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে হেলসিঙ্কি এবং স্টকহোমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথা হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ এর আগে গত সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়াকে নিজেদেরই পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে “পরিস্থিতিকে আবার ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।” আর এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখাত্র মারিয়া জাখারোভা সর্তর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ন্যাটোতে কোনও দেশ যোগ দিলে তাদেরকে “সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।” বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।