মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গদিচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর এবার সেই তিনিই ফিরতে চলেছেন স্বদেশে! স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে অন্তত এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ঈদের পর আগামী মাসেই লন্ডনের পাট চুকিয়ে পাকিস্তানে ফিরতে পারেন নওয়াজ।
সূত্রের দাবি, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েই দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তা না হলে তদন্তের মুখোমুখি পড়তে হত তাকে। তার জেরে জেলে যাওয়াও অস্বাভাবিক ছিল না। তাই আগেভাগেই লন্ডনে গিয়ে আশ্রয় নেন নওয়াজ। কিন্তু, এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। অনেকেই মনে করছিলেন, ইমরান খানের অপসারণের পর তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ। অবশেষে সেটাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমানে শাহবাজই তার বড় ভাইয়ের তৈরি দল পিএমএল-এন-এর সভাপতি। ইমরান খানের সরকার থাকাকালীন তিনিই ছিলেন বিরোধীদের দলনেতা। এই প্রেক্ষাপটে শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নওয়াজ তার পুরনো সাম্রাজ্য অনেকটাই ফেরত পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই একটা সময় পিএমএল-এন-এর নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই দেশে ফিরবেন তাঁদের দলের সুপ্রিমো।
পিএমএল-এন এর পক্ষ থেকে মিয়াঁ জাভেদ লতিফ নামে ওই নেতা জানিয়েছেন, নওয়াজের দেশের ফেরার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সকলের সমর্থন মিললে একমাত্র তবেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয়। সেই সময় পানামা পেপারকাণ্ডে (Panama Papers Case) তার নাম জড়িয়েছিল। বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সূত্রের দাবি, এরপরই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নওয়াজ। তবে, তিনি পাকিস্তান ছাড়েন এই ঘটনারও প্রায় আড়াই বছর পর, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে।
যদিও দেশ ছেড়ে পালানোর এই পর্বটা মোটেও সহজ ছিল না নওয়াজ শরিফের কাছে। তার বিদেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসার কারণে তার বিদেশ যাওয়া দরকার, এই আর্জি জানিয়ে সেই সময় লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওয়াজ। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে। চার সপ্তাহের জন্য নওয়াজকে লন্ডন যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, সেই যে তিনি গেলেন, আর ফিরে আসেননি।
কিন্তু, প্রশ্ন হল, এখন যদি নওয়াজ ফিরে আসেন, তাহলে সেটা কি শাহবাজ শরিফের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দেবে না? কারণ, মূলত দুর্নীতির ও অদক্ষতার অভিযোগ এনেই ইমরান খানের সরকারকে উৎখাত করেছেন শাহবাজ শরিফরা। অথচ, ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হতেই যদি দুর্নীতির অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসে বহাল তবিয়তে সময় কাটান, তাহলে জনমানসে কি ভুল বার্তা যাবে না? সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।