পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনকে দিন ব্যাংকিং সেবা সহজ হচ্ছে। এই সেবাকে আরও সহজ করেছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এ সেবা সহজেই গ্রাহকের বাড়ির পাশেই চলে এসেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের দোরগোড়ায় চলে আসায় দিন দিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে আমানত ও ঋণের পরিমাণ। গত আট বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে-কানাচে। শহরের তুলনায় প্রান্তিক জনগণের কাছেই বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এটি। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স গ্রহণেও এ সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের (২০২১ সাল) শেষে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৮২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। যা একই বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক অপেক্ষা ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে এজেন্টের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এ ব্যাংকের মাধ্যমেই মোট প্রবাসী আয়ের ৫৪ শতাংশ এসেছে। এর পরেই রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (২৪ শাতাংশ), ব্যাংক এশিয়া (১১ শতাংশ), আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান।
২০২১ সাল শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯১টি। এসব হিসাবধারীর আমানতের পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। যা তার আগের বছরের তুলনায় আট হাজার ৩১৬ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে শহরে দুই হাজার ৩৩ কোটি এবং গ্রামে ২২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার আমানত রয়েছে। ২০২০ সালে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। আমানতের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঋণ বিতরণও। ২০২১ সাল শেষে এ সেবাটির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। যা তার আগের বছর (২০২০ সালে) ছিল ১৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর পরেই রয়েছে ব্যাংক এশিয়া ও সিটি ব্যাংক। গত বছরে এ সবার মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ হয়েছে ১৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯১টি। এর মধ্যে শহরে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৪টি এবং গ্রামে এক কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৭টি। আর তার আগের বছর (২০২০ সালে) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩টি। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ লাখ ৪ হাজার ৩২৮ জন।
দেশব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর (২০২১ সাল) শেষে মোট ২৯টি ব্যাংক ১৩ হাজার ৯৫২টি এজেন্টের আওতায় ১৯ হাজার ২৪৭টি আউটলেটের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে শহরে এজেন্ট রয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর গ্রামে রয়েছে ৮৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। শহরে আউটলেট রয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ আর গ্রাম পর্যায় রয়েছে ৮৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে বড় ভূমিকা রাখছে এজেন্ট ব্যাংকিং। মূলত দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিতে কাজ করছে এটি। এতে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ব্যবসাকে নিরাপদ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং সাশ্রয়ী করতে ব্যাংকিং সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এতে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স অল্প সময়ের মধ্যে হাতে পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। এছাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ নানা ইউটিলিটি বিলও দিতে পারছেন তারা। এসব সেবার কারণে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।