পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত পাঁচ বছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই সেবা। তবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত আমানতের ৯০ শতাংশই রয়েছে মাত্র চার ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারির পর ২০১৪ সালে প্রথম এ সেবা চালু করে বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বর্তমানে মোট ১৮ টি ব্যাংক এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে দেশব্যাপী। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা আমানতের বেশিরভাই রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর কাছে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে আলোচিত ব্যাংক চারটির আমানতের পরিমাণ ২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। বাকি ২৩৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে অন্য ১৪ টি ব্যাংক। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অবকাঠামোগত সুবিধা ও কম জনবল প্রয়োজন হয় বলে পরিচালন ব্যয়ও কম হচ্ছে। এতে গ্রাহক পর্যায়েও কম খরচে সেবা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড আমানত সংগ্রহ করেছে যথাক্রমে ৭১২ কোটি, ৫০৪ কোটি, ৯১৬ কোটি এবং ১৬৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমানত সংগ্রহের হার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের। আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১২৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে আমানত সংগ্রহের হার। ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৭ লাখ টাকা। কিন্ত সেপ্টেম্বর মাসে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকায়।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১৭ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ছিলেন ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ জন। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৬৮ জন। ২০১৮ সালের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক ছিল ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭৯৭ জন। এই হিসাবে গত ছয় মাসে নতুন গ্রাহক বেড়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৭১ জন। তিন মাসে গ্রাহক ছাড়াও নতুন এজেন্ট যুক্ত হয়েছেন ৩১৪ জন। আর আউটলেট বেড়েছে ৪৪০টি। এই বছরের জুন পর্যন্ত ৫৩৫১টি আউটলেটে ৩৫৮৮ জন এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ৩৯০২ জন এজেন্ট ৫৭৯১টি আউটলেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিয়েছে। অবশ্য অক্টবর মাসে ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত ২০টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি ব্যাংক মাঠপর্যায়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ব্যাংকগুলো হলো- এনআরবি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।