মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ নয়, রাজাপাকসে পরিবার থেকে শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাও’- এমন লেখা সম্বলিত বন্যার নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নামেন দেশটির বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন রাজধানী কলম্বোতে। শিক্ষার্থী, আইনজীবী, অভিনেতাসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ সরকারবিরোধী আন্দোলন রাজপথে জড়ো হন। দিনে দিনে ক্ষমতাসীন লঙ্কান সরকারের ওপর বাড়ছে চাপ। শনিবার কলম্বোর ওয়াটারফ্রন্টে আন্দোলনকারীরা প্রথমবার সরকারের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে নামেন। আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে সেøাগান দেন। ৭২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের বিরুদ্ধে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সা¤প্রতিক ইতিহাসের সময়ের সবচেয়ে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলংকা। অর্থনৈতিক মন্দা এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে, প্রতিদিনই ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন নাগরিকরা। বিরোধী দলগুলোও চায় না রাজাপাকসে পরিবার ও তাদের কাছের লোকজন বা দলের কেউ ক্ষমতায় থাকুক। ধারাবাহিক বিক্ষোভ থেকে লংকান সরকারের প্রতি অনাস্থা জানানো হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বা তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু স্পষ্ট কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না গোতাবায়া সরকারকে। এদিকে বিভিন্ন শ্রেæী ও পেশার মানুষের পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। খবর এপি। খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার দেশটির প্রধান ব্যবসায়িক জেলায় খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা একটি সমাবেশ আয়োজন করে। এ সমাবেশ থেকে তারা প্রতিবাদ স্বরূপ রাজধানীতে মিছিল করে। ঋণে জর্জরিত দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোতাবায়া রাজাপাকসে তারা পদত্যাগের আহŸানও জানান। সমাবেশ ও মিছিলে বিক্ষোভকারীরা গোতাবায়া প্রশাসনকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ি করেছেন। মিছিলে আন্দোলনকারীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। যাতে লেখা ছিল- বাড়ি যাও রাজাপাকসে (গো হোম গোতা) ও আমাদের দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দরকার। কেউ কেউ গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী সংগঠিতভাবে ক্ষমতাসীনদের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। যারা এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই তরুণ। এসব প্রতিবাদকারী নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের প্রতি ঘৃণার বার্তা দিয়েছেন। তারা লিখেছেন- আপনি ভুল প্রজন্মের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করে এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়ার পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।