Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার

কাটে না অপেক্ষার প্রহর জটিল বিচার ব্যবস্থার একচেটিয়া সুযোগ আসামিদের

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুন হয় দুই যুগ আগে। বনানীস্থ ট্রাম্পস ক্লাবের গেটে উপুর হয়ে পড়েছিল তার গুলিবিদ্ধ লাশ। ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বরের এই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল দেশজুড়ে। সেই মামলার বিচারিক প্রসঙ্গ উঠল চলতি বছর। এরই মধ্যে প্রধান আসামিসহ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। সর্বশেষ, গত ৬ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো: জাকির হোসেন মামলার জব্দকৃত আলামত উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ এপ্রিল এটি আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। সেইসঙ্গে একই দিন মামলার সিডি (কেস ডায়েরি) উপস্থাপন করতে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়ার পর কেটে গেছে বহু বছর। নাগরিক-মনের পাটাতনে জমেছে বিস্মৃতির মিহি প্রলেপ। ঘটনার সময় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও এখন আর সেটিতে ‘চাঞ্চল্য’ নেই। ওই সময়কার অনেক মানুষই এখন জীবিত নেই। ভুক্তভোগীর স্বজনরা অপেক্ষার প্রহর গুনে গুনে ক্লান্ত। বেঁচে নেই মামলার অধিকাংশ সাক্ষী। তদন্ত কর্মকর্তারা অবসরে। মামলার আলামতও হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। আদালতের রেকর্ডরুমের কোন্ ফাঁকে ফিতায় বাঁধা নথি পড়ে আছেÑ কে জানে! গ্রেফতার আসামিদের দু’একজনই হয়তো কারাগারে। বেশিরভাগ আসামি এখনও অধরা। জামিন নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন অনেকে। আইনের ফাঁক-ফোকড় আর জটিল বিচারব্যবস্থার একচেটিয়া সুযোগ নিচ্ছেন তারা। আইনজ্ঞদের চোখে যা কি-না অপরাধীদের দেয়া এক ধরনের ‘দায়মুক্তি’। সেসঙ্গে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’র করুণ শিকারে পরিণত ভুক্তভোগী-স্বজনরা। এ অবস্থার অবসান কবে হবেÑ বলতে পারেন না বিচারাঙ্গন সংশ্লিষ্ট কেউ।

৬ হত্যা মামলার বিচার : ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর গোপীবাগের বাসায় কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক (৬০) সহ ৬ জন খুন হন। মুরিদ সেজে বাসায় প্রবেশ করে ১০-১২ জন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেÑ মর্মে পুলিশ তখন দাবি করে। খুন হওয়া অন্যরা হলেন, লুৎফর রহমানের ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক ওরফে মনির, খাদেম মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ মো: শাহীন, রাসেল এবং মুজিবুল সরকার। ঘটনার পর লুৎফরের আরেক ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফারুক বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন। আদালত প্রথম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)-কে। পরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯ বছরেও আদালতে দাখিল হয়নি। আবেদনের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত অন্তত : ১১২ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রাজধানীর গোপীবাগে ৬ খুনের মামলায় বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনরা।

ফারুকী হত্যার বিচার : ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় খুন হত্যা ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং হাইকোর্ট মাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী (৫০)। ঘটনার ৮ বছর পরও শুরু হয়নি এ মামলার বিচার। সর্বশেষ গতবছর ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ছিল। সিআইডি’র সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজিব ফারহান মামলাটির তদন্ত করছিলেন। আদালত সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৫২ বার পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।

ফারুকীর ছেলে আহমদ রেজা ফারুকী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আব্বা খুন হয়েছেন ৮ বছর আগে। মামলার বিচার তো দূরের কথা, অদ্যাবধি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনই আদালতে জমা পড়েনি। পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ হয়ে মামলাটি এখন সিআইডি’র হাতে রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে আসামি হিসেবে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, হাদিসুর রহমান সাগর, আবু রায়হান, আব্দুল গফ্ফার, মিঠু প্রধান, খোরশেদ আলম, রিয়াজ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু, খালেক বেপারি এবং মোজাফ্ফর হোসেন সাঈদ। এদের মধ্যে চারজন কারাগারে। ৫ জন জামিনে রয়েছেন।

সাগর-রুনি হত্যার বিচার : ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এক দশকেও চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার শুরু হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ৮৭ বার সময় দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র‌্যাব। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ব্রিফিংয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারবেনÑ মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আগামী ২৬ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ৮৮তম তারিখ ধার্য রয়েছে। এ মামলায় মেহেরুন রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন, নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। সব আসামিকেই একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

এদিকে সাংবাদিক দম্পতির চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে এক দশক আগে জারিকৃত রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন রিটকারী ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ২০১২ সালে করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত একটি রুল জারি করেছিলেন। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ জানতে চাওয়া হয়েছিল। পরে আমাদের একটি পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি তদন্তের জন্য র‌্যাবের হাতে যায়। কিন্তু ১০ বছরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। আদালত যে রুল জারি করেছিলেন এখন পর্যন্ত আমরা কোনো জবাব পাইনি। এ প্রেক্ষাপটে বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চে রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছি।

মডেল তিন্নি হত্যার বিচার : ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর পোস্তগোলা বুড়িগঙ্গা ব্রিজের নিচে মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনার দুই দশকেও মামলার রায় হয়নি।
তদন্ত প্রক্রিয়ায়, ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। অভি এ মামলার একমাত্র আসামি। এখন তিনি কানাডা পলাতক। চার্জশিট আমলে নিয়ে ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার তৎকালীন সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

পলাতক অভির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ দেয়া হয়। বিচার প্রক্রিয়ায় প্রসিকিউশন ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনকে আদালতে হাজির করে। এর মধ্যে ঢাকার সপ্তম জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে তিন্নির পিতা সৈয়দ মাহাবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম চলতি বছর ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেন।

বিচারাধীন শতাধিক মামলা : আলোচিত অন্তত শতাধিক মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার লালমাটিয়ার নিজ বাসায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নূরুল ইসলাম ও পুত্র তমোহর ইসলাম। ১৪ বছরেও এ মামলার বিচার হয়নি। ২০০৮ সালের নভেম্বরে পরিবহন ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন ও তার বন্ধু পোশাক ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন টুটুল খুন হন। একের পর এক তদন্ত কর্মকর্তা বদল হলেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। ফলে এক যুগেও সম্পন্ন হয়নি চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের বিচার।

একইভাবে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে অজ্ঞাত মহিলা হত্যা মামলা, গোপীবাগে কথিত পীর লুৎফর রহমানসহ ৬ হত্যা মামলা, পরিবাগের তুর্কি অ্যাসোসিয়েটস কার্যালয়ে রমজান আলী হত্যা মামলা, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বাচ্চু হত্যা মামলা, মালিবাগ সানরাইজ হোটেলে ডিবি ইন্সপেক্টর নূরুল আলম শিকদার ও এসআই আলমগীর হোসেন তালুকদার হত্যা মামলা, ঢাকার ওয়ার্ড কমিশনার আহম্মদ হোসেন হত্যা মামলা, মিরপুরে ব্যবসায়ী আফতাব, মিরপুর প্রিন্স গ্রুপের মালিক কাজী শহিদুল হক, ওয়ার্ড কমিশনার মিস্টার, গুলশানে গৃহবধূ তাসমির হোসেন মুন্নী, পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী আজগর, খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ইসলাম শিকদার, বিজয়নগরে ব্যবসায়ী নজরুল, সবুজবাগে আজিজুল, মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সামাদ খান হত্যা মামলা, ব্যবসায়ী সোহেল হোসেন টিটু, তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ সাবেক নেতা মিজানুর রহমান, মিরপুরের কাপড় ব্যবসায়ী আলী আকবর, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সংস্থার মহাসচিব ইদ্রিস আলী বেপারি হত্যা মামলা, বাড্ডার ঠিকাদার আল আমিন, পুরান ঢাকার মহানগর পুস্তক বাঁধাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদ, মতিঝিলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার আলী হত্যা মামলারও বিচার হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন বলেন, আমাদের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর মধ্যেও আবরার হত্যা মামলা, সাভারে ৭ শিক্ষার্থী হত্যা মামলা, বরিশালে রিফাত শরীফ হত্যা মামলাসহ বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলায় বিচারিক আদালতের রায় হয়েছে। হাইকোর্টে এখন আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স বিচারাধীন রয়েছে। জাতির জনক হত্যা মামলা বিচারের মাধ্যমে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাগুলোর পর্যায়ক্রমে বিচার হচ্ছে। এ সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক।

প্রয়োজন মহাপরিকল্পনা : চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনার কথাও বললেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতি বিদ্যমান তাতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকারকেই প্রথম মামলাটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদালতে নিয়ে আসে। আদালত নিজে থেকে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে পারেন না। এটি অনেক সময় আইনজীবীদের ওপরও নির্ভর করে। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোকে সাধারণত সরকার খুব দ্রুত বিচারের জন্য আদালতে নিয়ে আসে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করাÑ দু’টোই সরকারের হাতে। এখানে সরকার একটি মেকানিজম করে থাকে। কোর্টে সরকারের যে প্রসিকিউশন থাকে তাদের একটি বিরাট রোল থাকে। তারা এটি ঠিক করে বিচার দ্রুত হবে কি-না। একটি নরমাল মামলায় অনেক সাক্ষী থাকে। সাক্ষীরা সময় মতো আসে না। বারবার আদালতের কাছে সময় নেয়। তাছাড়া কোর্ট তো আর একটি মামলা করে না! চাঞ্চল্যকর মামলায় তো পুলিশ সাক্ষীদের সমন দিয়ে ধরে নিয়ে আসে। তাড়াতাড়ি সাক্ষী নেয়। যেমনটি হয়েছে আবরার হত্যা মামলার ক্ষেত্রে।

মনজিল মোরসেদের মতে, আদালতে বিচারক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বিচার কক্ষের সংখ্যাও কম। লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব আছে। বিচারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই পর্যাপ্ত নেই। তদন্ত কাজে পুলিশও কালক্ষেপণ করে। তদন্তেও অনেক সময় চলে যায়। এ কারণে চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকল্পে প্রয়োজন মহাপরিকল্পনা। এ ছাড়া এটির সমাধান নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ