পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলার বিচার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা একটানা জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে চলে সাক্ষ্য গ্রহণ। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলার একটির বাদী ডাক্তার বিজয় কুমার পাল গতকাল আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। ডাক্তার বিজয় কুমার পাল ৭ খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারের বড় মেয়ের জামাতা।
উভয় মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক ও উপস্থিত আসামিদের মধ্যে গতকাল ২২ জনের আইনজীবী বাদিকে জেরা করেন। ৩ জনের পক্ষে আদালতে সময় প্রার্থণা করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। উপস্থিত বাকি ১০ আসামির আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তারা বাদিকে জেরা করতে পারেননি। বিচারক এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আসামি ৭ মার্চ। এছাড়া আসামি ৩ মার্চ ৭ খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত অপর মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ ধার্য করেন বিচারক। সেলিনা ইসলাম বিউটি গতকালও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিচার কাজ শুরুর আগে আদালতের এজলাস থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এজলাসে প্রবেশে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক বিচার কাজ শুরু হলেও ডাক্তার বিজয় সাক্ষ্য প্রদান করতে কাঠগড়ায় দাঁড়ান সকাল পৌনে ১১টায়। এরপর তিনি আদালতের উদ্দেশে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা প্রাণবন্ত ছিল না। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বেশির ভাগই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বাদিকে জেরা করেন। দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত একে একে ২২ আসামির আইনজীবী বাদিকে জেরা করেন। ২২ আসামির মধ্যে ১০ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ১২ আসামি পলাতক। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবীরা জেরা করেন।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং উপ অধিনায়ক এমএম রানার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বাদিকে জেরা করার জন্য সময় প্রার্থনা করেন। বিচারক তা মঞ্জুর করে আসামি ৭ মার্চ বাদিকে জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।