Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যা বলে ধরা খেল কিয়েভ

জাতিসংঘের-মানবাধিকার-কাউন্সিল-থেকে-সাসপেন্ড-রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

বুচার হত্যাকাণ্ডের পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ এনেছিল কিয়েভ। তবে এবার তাদের মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণসহ ফাঁস করে দিয়েছে রাশিয়া। গত ৮ এপ্রিল ক্রামতোর্স্ক রেলস্টেশনে রাশিয়ান সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল কিয়েভ। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামলা যে তারা নয়, বরং কিয়েভের সেন্রাাই করেছে সেই প্রমাণও তারা তুলে ধরেছে। ঘটনাস্থলে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত টোচকা-ইউ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরেছে রাশিয়া।
‘কিয়েভ জাতীয়তাবাদী শাসনের প্রতিনিধিদের সমস্ত দাবি যে, রাশিয়া ৮ এপ্রিল ক্রামতোর্স্কের রেলওয়ে টার্মিনালে ‘মিসাইল হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ একটি উস্কানি এবং বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর এ ধরণের কোন নির্দেশনা ছিল না। এবং ৪ এপ্রিল ক্রামতোর্স্ক শহরে হামলার কোনও পরিকল্পনাই করা হয়নি,’ মন্ত্রণালয় জোর দিয়েছিল। টোচকা-ইউ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র যার টুকরোগুলো ক্রামতোর্স্ক টার্মিনালের কাছে পাওয়া গেছে এবং প্রাসঙ্গিক ফুটেজটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা পোস্ট করা হয়েছিল, যা শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘১৪ মার্চ, ২০২২-এ, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ১৯ তম পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিগেডের একটি ব্যাটালিয়ন দোনেৎস্কের কেন্দ্রে অনুরূপ একটি টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা একটি হামলা চালায়, যাতে ১৭ জন নিহত হয় এবং আরও ৩৬ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়।’ দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের পিপলস মিলিশিয়া (ডিপিআর) এর মুখপাত্র এডুয়ার্ড বাসুরিন শুক্রবার এর আগে বলেছিলেন যে, ক্রামতোর্স্কের রেলস্টেশনে টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পরে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের বুচা-সহ একাধিক শহরে গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সাসপেন্ড করা হল রাশিয়াকে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ। আমেরিকার আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ২৪টি দেশ। ভারত, বাংলাদেশসহ মোট ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। দুই তৃতীয়াংশ ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়ায় মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড হতে হল পুতিনের দেশকে। রাশিয়া ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। সেই রাশিয়াকে এভাবে সাসপেন্ড করাটা রীতিমতো বিরল ঘটনা। শেষবার ২০১১ সালে লিবিয়াকে এভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যদিও রাশিয়ার এই সাসপেনশন চিরস্থায়ী নয়, সাময়িক। সূত্র : তাস।



 

Show all comments
  • Swapan Dutta ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৭ এএম says : 0
    পশ্চিমা বিশ্ব যা করছে,তার পরিনতি ভয়াবহ হতে পারে।একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ,প্রেসিডেন্ট পুতিন আগেই বলে রেখেছেন, যে বিশ্বে রাশিয়ার নাম থাকবে না, সেই বিশ্বে থাকার কোন দরকার নেই,
    Total Reply(0) Reply
  • Manzurul Islam ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৭ এএম says : 0
    দিনশেষে আমেরিকাই জয়ী। রাশিয়া নিয়ে আমরা অনেকেই বড় বড় গল্প বলি, রাশিয়ার জন্য সামনে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে এটাই বাস্তবতা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shahjahan Shaju ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৮ এএম says : 0
    যে কেউ আগ্রাসনের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করলে তার জন্যে এটা একটা কড়া মেসেজ। জাতিসংঘ এই একটা ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। ইজরায়েলের বিরুধ্যেও এমনই একটা ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • Muklesur Rahman ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৮ এএম says : 0
    জাতিসংঘ তো আমেরিকায় চালায় ওরা যা বলে তাই করে বাদ্য হয় জাতিসংঘ কিভাবে যুদ্ধ বন্ধ করবে এ নিয়ে চিন্তা না করে রাশিয়া কে ক্যাপানো হচ্ছে বিভিন্ন অবরোধ দিয়ে এভাবে সমস্যার সমাধান কখনও ভালোর দিগে যাবেনা
    Total Reply(1) Reply
    • N Hasnat ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১:২০ এএম says : 0
      কী ভাবে জাতিসংঘ আমেরিকায় চালায় মকলেসুর মিয়া ছাহেব? এগুলো কি কোন মোল্লার হাছ থেকে পাখিপড়া লেকচার? জাতিসংঘের ইতিহাসে আমেরিকা কয়বার veto দিয়েছে আর রাশিয়া ও চীন কয়বার veto দিয়েছে। শুধু আমেরিকা না, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স মিলে যত বার veto দিয়েছে এক সোভিয়েত/রাশিয়া একাই প্রায় সমান সংখ্যক veto দিয়েছে। আর রাশিয়ার সাথে চীন ১৬ veto হিসেবে নিলে তো কথাই নেই! বড় বড় জ্ঞানগম্মি করার আগে একটু হোমওয়ার্ক করে আসবেন।

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ