মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুচার হত্যাকাণ্ডের পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ এনেছিল কিয়েভ। তবে এবার তাদের মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণসহ ফাঁস করে দিয়েছে রাশিয়া। গত ৮ এপ্রিল ক্রামতোর্স্ক রেলস্টেশনে রাশিয়ান সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল কিয়েভ। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামলা যে তারা নয়, বরং কিয়েভের সেন্রাাই করেছে সেই প্রমাণও তারা তুলে ধরেছে। ঘটনাস্থলে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত টোচকা-ইউ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরেছে রাশিয়া।
‘কিয়েভ জাতীয়তাবাদী শাসনের প্রতিনিধিদের সমস্ত দাবি যে, রাশিয়া ৮ এপ্রিল ক্রামতোর্স্কের রেলওয়ে টার্মিনালে ‘মিসাইল হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ একটি উস্কানি এবং বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর এ ধরণের কোন নির্দেশনা ছিল না। এবং ৪ এপ্রিল ক্রামতোর্স্ক শহরে হামলার কোনও পরিকল্পনাই করা হয়নি,’ মন্ত্রণালয় জোর দিয়েছিল। টোচকা-ইউ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র যার টুকরোগুলো ক্রামতোর্স্ক টার্মিনালের কাছে পাওয়া গেছে এবং প্রাসঙ্গিক ফুটেজটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা পোস্ট করা হয়েছিল, যা শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘১৪ মার্চ, ২০২২-এ, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ১৯ তম পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রিগেডের একটি ব্যাটালিয়ন দোনেৎস্কের কেন্দ্রে অনুরূপ একটি টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা একটি হামলা চালায়, যাতে ১৭ জন নিহত হয় এবং আরও ৩৬ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়।’ দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের পিপলস মিলিশিয়া (ডিপিআর) এর মুখপাত্র এডুয়ার্ড বাসুরিন শুক্রবার এর আগে বলেছিলেন যে, ক্রামতোর্স্কের রেলস্টেশনে টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পরে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের বুচা-সহ একাধিক শহরে গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সাসপেন্ড করা হল রাশিয়াকে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ৯৩টি দেশ। আমেরিকার আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় ২৪টি দেশ। ভারত, বাংলাদেশসহ মোট ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। দুই তৃতীয়াংশ ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়ায় মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড হতে হল পুতিনের দেশকে। রাশিয়া ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। সেই রাশিয়াকে এভাবে সাসপেন্ড করাটা রীতিমতো বিরল ঘটনা। শেষবার ২০১১ সালে লিবিয়াকে এভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যদিও রাশিয়ার এই সাসপেনশন চিরস্থায়ী নয়, সাময়িক। সূত্র : তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।