Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোজা জীবনেরই অপরিহার্য অনুষঙ্গ

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৯ এএম

আরবি ১২ মাসের নবম মাসকে বলা হয় রমজান মাস। শব্দটি আরবি ‘রমজ’ থেকে উদ্ভূত। ‘রমজ’ অর্থ জ্বালানো, পোড়ানো, দাহো করা ইত্যাদি। রমজান মানুষকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার মতো যোগ্য ও বিদগ্ধ করে তোলে বিধায় এ মাসকে রমজান বলা হয়। আর আরবি ভাষায় রোজাকে সিয়াম বলা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলাকে সিয়াম বলে। রোজা শব্দটি ফার্সি হলেও এটি বাংলা ভাষায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন দেশে শব্দটি বিভিন্ন অভিধায় ব্যবহৃত হয়। সব মুসলিম দেশে এটি রোজা হিসেবে পরিচিত নয়। যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে রোজাকে পউসা বলা হয়ে থাকে। খ্রিস্টানরা ফাস্টিং আর হিন্দুরা এটাকে উপবাস বলে থাকে। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে চলে আসা ধারাবাহিক উপবাস বাংলাদেশে সর্বাধিক রোজা নামে পরিচিত। পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.) বেহেশ্ত থেকে পৃথিবীতে প্রেরিত হন। স্ত্রীকে ছেড়ে তিনি শত বছর নিঃসঙ্গ বসবাস করেন। এ নিঃসঙ্গতা উপবাসেরই নামান্তর বলে মনে করা হয়। রোজার ইতিহাসে দেখা যায়, আদম (আ.) এর বংশধরগণ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন। এর ধারাবাহিকতায় নুহ (আ.) এর বংশধরগণও একই নিয়মে রোজা পালন করতেন। মূসা (আ.) ও ঈসা (আ.) ৪০ দিন রোযা পালন করেছেন। দাউদ (আ.) পালন করেছেন সাত দিন। রোজা রাখার এই ধারাবাহিকতা বিভিন্ন ধর্মে বিদ্যমান আছে। ঐতিহ্যগতভাবে ইহুদিরা বছরে ছয় দিন রোজা পালন করে থাকেন। আর তাদের কাছে রোজা অর্থ হলো, সব ধরনের খাবার ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। ইহুদি বর্ষপঞ্জিকার আলোকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিন হলো ‘ইয়াওমুন কিপ্পুর’। এদিনে সকল পূর্ণ বয়স্ক নারী ও পুরুষ উপবাস পালন করে থাকে। (উইকিপিডিয়া) খ্রিস্টান ধর্মে রোজা পালনকে ফাস্টিং বলা হয়। ইহুদি ধর্মের মতো এ ধর্মেও রোজা পালনের বিধান লক্ষণীয়। মথি ৬ অধ্যায়ের ১৬ থেকে ১৮ পদে বলা হয়েছে: ‘তোমরা যখন উপবাস করো তখন ভণ্ডদের মতো মুখ শুকনো করে রেখো না। তারা যে উপবাস করেছে তা লোক দেখানোর জন্য। তারা উপবাস থেকে মুখ শুকনো করে ঘুরে বেড়ায়।’ হিন্দু ধর্মে উপবাস একটি আনুষাঙ্গিক বিষয়। মহা শিবরাত্রিতে হিন্দুদের উপবাস থাকতে দেখা যায়। তারা এক বিন্দু পানি পর্যন্ত স্পর্শ করে না। তারা নভরাত্রিতেও উপবাস পালন করে থাকে। হিন্দুদের অনেকেই পুরো শ্রাবণ মাস উপবাস উদযাপন করে। এছাড়া বিভিন্ন উৎসব ও দিন উদযাপন উপলক্ষেও তাদের এ উপবাস পালন করতে দেখা যায়। (উইকিপিডিয়া, ২০ এপ্রিল ২০২১)। বৌদ্ধধর্মে রয়েছে কঠোর উপবাস পালনের বিধান। বাহাই ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখধর্মসহ অন্যান্য ধর্মেও তাদের ধর্মীয় বিধানমতে রোজা পালনের নির্দেশনা রয়েছে। আর মহানবী (সা.) এর উপর রোজার বিধান আরোপিত হয় দ্বিতীয় হিজরীর ৬২৪ সালের ১ মার্চ। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। রোজা তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ ছিলো, যাতে তোমরা পরহেজগারিতা অর্জন করতে পারো।’ (আল-বাকারা: ১৮৩)। পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে রোজা রাখার বিধান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই প্রথাগতভাবে সবধর্মের মানুষই রোজা পালন করত। তাদের অনেকেই মনে করত, উপবাসের মাধ্যমে মনোদৈহিকশক্তি বৃদ্ধি পায়। তারা ভাবত, রোজার মাধ্যমে মানুষের রিপুর তাড়না জয় করা যায়। তাদের কাছে আত্মিক শক্তি ও মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম ছিল রোজাপালন। গ্রিক, মিশর ও চীনারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে রোজা পালন করত। যুদ্ধ জয়ের জন্য রোজা একটা বড় মাধ্যম বলে তারা বিশ্বাস করত। তারা মনে করত, ইন্দ্রিয়জয় মানে যুদ্ধজয়-বিশ্বজয়। প্রাচীনকালে বিভিন্ন জাতির মাঝে বিপদ থেকে মুক্তির জন্যও উপোসের নীতি চালু ছিলো। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মের পণ্ডিত ও দার্শনিকগণ বিভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিল করতে রোজা পালন করতেন। সক্রেটিসের জীবনী পাঠ করলে দেখা যায়, তিনি নিয়মিত রোজা পালন করতেন। মহাত্মা গান্ধীও উপবাস নীতি অনুসরণ করতেন। আর গৌতম বুদ্ধ না খেয়ে থাকতে থাকতে কঙ্কালসার হয়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। মুসলিম দার্শনিক আল্লামা ইকবাল (র.) একাধারে চল্লিশটি রোজা রাখতেন। ইফতারের সময় শুধু সামান্য দুধ দিয়ে ইফতার করতেন। এসব আলোচনা দ্বারা বুঝা যায়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রোজা রাখার বিধান অতি প্রাচীন। এ বিধানটি সার্বজনীন বিধান হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

আল্লাহ প্রদত্ত সকল বিধানই মানবতার মুক্তির নিমিত্তে অবতীর্ণ হয়েছে। আর এ সকল বিধানে রয়েছে মানবতার ইহকালীন এবং পরকালীন কল্যাণ। রোজাও ঠিক তেমনি এক অনুপম বিধান। এ বিধান পালনে রয়েছে আধ্যাত্বিক ও দৈহিক প্রভূত উপকার ও কল্যাণ। রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোজাকে করোনার বড় প্রতিরোধক বলে উল্লেখ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে বাংলাদেশের মাসিক কমিউনিটি পত্রিকার একটি বিশেষ প্রতিবেদন এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মানুষ সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে থাকে। আর সেটি ভক্ষণের ফলে শরীরে তৈরি হয় নানা বিষাক্ততা। ফলে শরীরে জমা হয় ক্ষতিকর চর্বি। যার মাধ্যমে লিভার, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোজার মাধ্যমে এ বিষাক্ততা দগ্ধ ও নিস্বরণ হয়। পৃথিবীর এমন দেশ আছে যেখানে ২০ ঘণ্টা রোজা রাখা লাগে। এমতাবস্থায় রোজার মাধ্যমে তাদের পরিপাকতন্ত্র পূর্ণ বিশ্রাম পায়। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের সকল মানুষই কম-বেশি ভোজনরসিক। তবে এক্ষেত্রে বাঙালিরা বেশ এগিয়ে বলা যায়। ভালো খাবার দেখলে এ ভোজন রসিকেরা ভরাপেটেও তা গ্রহণ করতে মোটেই কৃপণতা করে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সমস্ত ভোজনরসিকের পরিপাকতন্ত্র সব সময় ব্যস্ত থাকে। ব্যস্ত থাকতে থাকতে পরিপাকতন্ত্র হয়ে যায় ক্লান্ত। আর এ ক্লান্তি দূর করার উপযুক্ত বিধান হলো রোজা। রোজার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্র পূর্ণ বিশ্রাম পায়। পরবর্তী ১১ মাস খাদকগণ খাদ্য ভক্ষণ করবে ইচ্ছামতো। আর এ খাদ্য হজম করতে পরিপাকতন্ত্রের প্রয়োজন হয় শক্তির। আর এ শক্তির যোগানদাতা হিসেবে কাজ করে রোজাপালন। উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোজা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর এক মহৌষধ। রোজা শরীরের চর্বি দগ্ধ করতে সহায়তা করে এবং শক্তি সরবরাহ করে। এর ফলে শরীর থেকে চর্বি কমে যায়। আর চর্বি কমে গেলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে রক্তচাপ কমতে থাকে। মানুষের শরীরের জীবনীশক্তির অন্যতম উপাদান হলো গ্লুকোজ। এটা ফুয়েলের মতো, যা শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সরবরাহ করে। এছাড়া মস্তিষ্কের একমাত্র জ্বালানি হচ্ছে এ গ্লুকোজ। আর রোজার মাধ্যমে শরীরে জমাকৃত গ্লুকোজ দগ্ধ হয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে মস্তিষ্ক সঠিক নিয়মে তার কাজ আঞ্জাম দিতে পারে। আবার মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসের ফলে মানব শরীরে এটা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। রোজার কারণে দীর্ঘক্ষণ অনাহারে থাকা লাগে। ইফতারের পরে ভাত, রুটি, আলু, সবজি ইত্যাদি খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ফলে ব্লাড সুগার স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ থেকে রোজাদার নিরাপদ থাকে। সকল রোগের কেন্দ্র হলো পেট। আর পেটের নিয়ন্ত্রণই হলো আরোগ্যতা। সুতরাং যখন মানুষ কম খাবে তখন তার পেটও কম বৃদ্ধি পাবে। তার ওজনও কমে যাবে। এভাবে রোজাদারের মেদ-ভুড়ি কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে রোজা। রোজায় সাধারণত রোজাদারগণ ইফতার করে খেজুর দিয়ে। প্রতিটি খেজুরে আছে ৩১ গ্রাম শর্করা, সুগার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর আছে ভিটামিন বি। আর এ সবগুলোই শরীরের জন্য উপকারী। রোজা তাই সুস্বাস্থ্য গঠনের অন্যতম সেরা ধর্মীয় বিধান। ধুমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ক্যান্সারের উপকরণ বলে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। রোজার মাধ্যমে এ সমস্ত ব্যক্তিগণ অল্পক্ষণের জন্য হলেও ধূমপান ও মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকে, যা মরণব্যাধি ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’ ((Dr. Sadeq Ali, Sedney, Australia, 17April, 2018))

রোজায় রয়েছে ব্যক্তির ব্যক্তি ও আধ্যাত্মিকতা গঠনের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপায়। রোজাদারগণ রোজার মাসে খাওয়া-দাওয়াহ, বিবাহ-শাদী ও সামাজিক আচার-আচরণে ধৈর্যের অনুশীলন করে থাকে। ফলে রোজাদার একজন ধৈর্যশীল ব্যক্তিতে পরিণত হয়। ধৈর্যশীল ব্যক্তির জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। (সূরা যুমার: ১০)। রোযাদারগণ তার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামাজিক জীবনে ঝগড়া-বিবাদ ও অনর্থক কথা থেকে বিরত থাকেন। আর এ কারণে রোজাকে ঢাল হিসেবে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। (মুসলিম: ৯২১৪)। অনুরূপভাবে রোজা জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকারও ঢাল ও মজবুত দুর্গ হিসেবে কাজ করে থাকে। হাদিসে বলা হয়েছে: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে ৭০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।’ (মুসলিম: ২৭৬৯)। রোজাদারগণ রোজার মাধ্যমে দুটি আনন্দ পায়। যার একটি দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক। আরেকটি পরকালের সাথে। দুনিয়ার সাথে সম্পর্কিত আনন্দটি হলো, ইফতারের সময় হরেক রকম মজাদার আর বাহারি খাদ্যের সমাহার। আর পরকালের সাথে সম্পৃক্ত সম্পর্কিত আনন্দটি হলো, আল্লাহর সাথে সাক্ষাত। হাদীসে এসেছে, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় অন্যটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারী: ১৭৯০)। মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। দুর্বল মুমিন হিসেবে তাই সে মাঝে মধ্যে অপরাধ করে থাকে। রোজা তার এ অপরাধগুলোকে মুছে দেয়। নবীজি (স.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন পরিবার, প্রতিবেশী ও সম্পদের কারণে অপরাধ করে থাকে, তখন তার নামাজ, রোজা ও সাদকা এ অপরাধগুলোকে মিটিয়ে দেয়।’ (বুখারী: ১৭৯৫)। রোজার মাধ্যমে রোজাদার অসহায় এবং সম্বলহীনদের প্রতি অনুভূতিশীল হতে পারে। সারাদিন অভুক্ত থাকার মাধ্যমে অভাবী আর অনাহারী মানুষের প্রতি মমতা সৃষ্টির মাধ্যম হচ্ছে রোজা। ইসলাম একটি বাস্তব অনুশীলনধর্মী জীবনব্যবস্থা। শুধু কিতাবে সীমাবদ্ধ থাকা নির্দেশনার নাম ইসলাম নয়। ইসলামের এ অনুসরণ সমাজ জীবনে রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। তাই প্রকৃত রোজাদার নিজের পেটকে খাবার গ্রহণ করা থেকে যেমন বিরত রাখে। ঠিক তার হাত, পা, চোখ-কান তথা ইন্দ্রিয়ের চাহিদা ও লালসা থেকেও বিরত রাখে। নবীজি (স.) বলেছেন, ‘শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। রোজা হলো, অনর্থক-অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা।’ (হাকেম: ১৫২০)

লেখক: কলামিস্ট ও অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন