মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় সোমবার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, আর এ রোগে এই দিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে রাশিয়া। এছাড়া এই দিন করোনার সংক্রমণের চেয়ে এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি ।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দক্ষিন কোরিয়া করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ জন এবং করোনাজনিত অসুস্থতায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের।
একই দিন রাশিয়ায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জনের এবং দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৯১ জন।
সোমবার বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৬৫১ জন, মৃত ১৫০ জন), যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ১৮০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ১৪২ জন), ফ্রান্স (মৃত ১৪৯ জন, নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ৬৪৮), ইতালি (মৃত ১২৫ জন, নতুন আক্রান্ত ৩০ হাজার ৬৩০ জন), ভিয়েতনাম (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৭১৭ জন, মৃত ৪২ জন) এবং জাপান (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ২৪২, মৃত ৩৮ জন)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৫ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ২ হাজার ৩২৫ জন। তবে এই দিন ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫২০ জন মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ, সোমবার দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠার মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৫ জন।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৮৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৯ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ২৭৪ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৭ জনের। এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৮১ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।