যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বহু নবী-রাসূলের জন্মস্থান এই ফিলিস্তিন। এর মাটিতে পা রেখে চলেছেন হাজারো অলি-আওলিয়ারা। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদ থেকে রাসূল (সা.) মেরাজে গমন করেন। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমের সূরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদের হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। ’
ইসরাইলি নির্যাতনের মুখেও নিজস্ব স্বাধীন ভূমির স্বপ্ন হারায়নি ফিলিস্তিনিরা। তাদের সেই স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আল আকসা মসজিদ এবং ডোম অব রক (কুব্বাতুল সাখরা)। তবে এখানে ফিলিস্তিনিরা ইচ্ছা করলেই আসতে পারে না দখলদার ইসরাইলিদের বিধিনিষেধের কারণে। তবুও আল আকসা মসজিদের প্রতি তাদের ভালোবাসার কমতি নেই। রমজান এলে তাদের সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়।
প্রতিবেশির খোঁজ-খবর নেওয়া এবং মুসলমানের সাহায্যে নিজের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের দৃষ্টান্ত মেলা ভার। রমজানে তাদের এই প্রচেষ্টা শতগুণে বেড়ে যায়। অনেকেই সারা মাস মেহমানকে সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেন। প্রত্যেক ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীর প্রতি সর্বোচ্চ নজর রাখেন যাতে করে কেউ খাবারের কষ্ট না পায়। সম্মিলিতভাবে নেয়া হয় সহায়তা প্রকল্প।
সেহরির সময়ে জান্নাতি পাখিদের ডাক
রমজানের মধ্যরাতে জেরুজালেমে ছেলেমেয়েরা মিলে ড্রাম বাজিয়ে এবং চিৎকার করে ঘুম থেকে মানুষকে সেহেরি খেতে জাগায়। এটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। প্রযুক্তিগত বহু উন্নতি হলেও এটি একটি সম্মানিত ঐতিহ্য যা আজও অব্যাহত রয়েছে। সেহরির সময়ে দলবেধে এমন মধূর চিৎকারে মনে হয় যেন জান্নাতি পাখিরা ডাকছেন। মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এই প্রথা এখনো চালু রয়েছে।
বিশেষ বিশেষ খাবার
ফিলিস্তিনিদের রমজানের রান্নায় অনেক খাবার রয়েছে, যার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে অন্যদের তুলনায় বিশেষ ধরনের পদ পছন্দ করা হয়। গাজায় সাধারণত মাকলুবা, সুমাগিয়াহ এবং মাফতউল খায়। পশ্চিম তীরে মুসাখান ও মনসাফ বিখ্যাত। আচার এবং সালাদ সবসময় ফিলিস্তিনি ইফতারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
ইফতার-সেহরি যেন থাকে সবার ঘরে
জেরুজালেমের বাসিন্দারা চিরায়ত ঐতিহ্য অনুযায়ী তাদের জনপ্রিয় পানীয় তামারিন জুস পান করেন। তবে সাধারণত তারা ইফতার প্রথমে খেজুর দিয়ে শুরু হয়। পনির ও দই জাতীয় খাবার ইত্যাদি সেহরিতে খায়। ফিলিস্তিনিরা খুব ঘটা করে এবং আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করে থাকে।
জেরুজালেমে রমজানের কামান ছুঁড়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে ইফতারের সময় জানানো হয়। জেরুজালেমের বাসিন্দারা শত শত বছর ধরে রমজানের সময় কামানের গোলাগুলি শুনেছেন। জেরুজালেমের কামানটি শহরের মাঝখানে সালাহ আল-দিন রাস্তায় আল-সাহিরা গেট এলাকায় মুজাহিদিন ইসলামিক কবরস্থানে অবস্থিত। অন্যান্য শহর, যেমন কলকিল্যা, মসজিদে জামুর ইফতার (রোজার সাইরেন) ব্যবহার করে রোজা ভাঙার জন্য অবহিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।