পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দাম বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ায় পিষ্ট মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারগুলো বিপাকে বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপই যেন কাজে আসছে না। এদিকে প্রতিবছরই রমজান মাসকে ঘিরে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবার রমজানের দুই মাস আগ থেকেই এই মূল্যবৃদ্ধির কবলে পড়েছে রাজধানীসহ পুরো দেশ। রমজান শুরুর অনেক আগেই রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারগুলোতে রমজানের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিতপণ্যের দাম।
আর তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সব নিত্যপণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বাজারে সরবরাহ ও দাম পর্যালোচনা করে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে ১৭ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে উপদেষ্টা ও বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষকে সভাপতি করে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ সদস্যের টাস্কফোর্স কমিটি গঠনসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
গঠিত কমিটিতে বাকি সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, কৃষিসচিব, খাদ্যসচিব, শিল্পসচিব, তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক সচিব, ট্রেড অ্যান্ড ট্রিকস কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ডিজিএফআই’র মহাপরিচালক, এনএসআই’র মহাপরিচালক, টিসিবির চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই সভাপতি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব।
পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার আগেই দেশে চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। করণীয় নির্ধারণে গত ১৩ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিভাগের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ভোজ্যতেলের আমদানি পরিশোধন ও বিক্রি পর্যায়ে থাকা ৩৫ শতাংশ ভ্যাটের মধ্যে ৩০ শতাংশ উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
একই সঙ্গে সারা দেশে দ্রব্যমূল্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে গত ১৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
গঠিত টাস্কফোর্সের দায়িত্ব : সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানকে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক বাজার দর ও আমদানিসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ; কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বা সরবরাহ চেইনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পণ্য উৎপাদন, পরিশোধন ও আমদানি থেকে স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রয় পর্যন্ত সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া। নিত্যপণ্যের সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া এবং উল্লেখিত কার্যাবলির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বা আনুষঙ্গিক অন্য সব প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করা। এ ছাড়া গঠিত কমিটি প্রতি মাসে অন্তত একবার সভা করবেন। প্রয়োজনে উল্লেখিত কার্যাবলি সম্পাদনে অন্য সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নুরুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক গঠিত টাস্কফোর্স কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি জরুরি ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।