পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জয় লিখেছেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মানুষের ওপর গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, কারণ আর কিছুই নয়- এখানকার মানুষরা শুধু একটু ভালোভাবে জীবনযাপন করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, বাঙালিরা শুধু চেয়েছিল- মানুষ হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষদের সমান মর্যাদা পেতে। কিন্তু তার পরিবর্তে পাকিস্তানিরা ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ মার্চ কালরাতে, জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনার জন্য ঘাতক বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলে টিক্কা খান। তারা সেই রাতে ৭ হাজার বাঙালিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। তখন থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা কমপক্ষে ২ লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এই জঘন্য গণহত্যার কারণে জীবন বাঁচাতে স্থানচ্যুত হতে বাধ্য হয় ৩ থেকে ৪ কোটি বাঙালি। এদের মধ্যে ১ কোটিরও বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে।
তিনি আরও লেখেন- ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের গণহত্যার চালানোর একটি উল্লেখযোগ্য নথি হলো ‘হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট’। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে: তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে মোতায়েন করা পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙালিদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে, এমনকি বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যেও ওই রিপোর্টে পাকিস্তানি সেনাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এর সব কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তানিদের সেনা কর্তৃক বাঙালিদের ওপর এই জঘন্য গণহত্যার অপরাধটি এখনো বিশ্বজুড়ে সেভাবে স্বীকৃত হয়নি। ১৯৭১-এর এই অমানবিক অপরাধকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে তা শুধু হত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতিই অবিচার হবে না, বরং তা হবে ইতিহাসের প্রতিই অবিচার।তাই আমরা পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাভার ছবি আপডেট করে তার ক্যাপশনে এসব কথা লিখেছেন জয়; যার মাধ্যমে তিনি পাক সেনাদের নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।