Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ

ইউক্রেন নিয়ে সাংবাদিকদের পর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গত ২ মার্চ ইউক্রেনে আগ্রাসন সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি রেজল্যুশনে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেন সংক্রান্ত আরেকটি রেজুলেশনে পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। ওই রেজুলেশনে ১৪০টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়, ৩৮টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল এবং ৫টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়।
গতকাল শুক্রবার এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সকালে সাংবাদিকদের বলেন, রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মানবিকতা। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মানবিক দেশ হিসেবে সুপরিচিত। আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধের বিপক্ষে। তিনি বলেন, যেকোনও যুদ্ধে সাধারণ নাগরিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এটি আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই জানি। জাতিসংঘের রেজুলেশনে বলা হয়েছে, যারা নির্যাতিত এবং আহত হয়েছে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমরা চাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে তারা সব ধরনের সুবিধা পাক, সেই জন্য আমরা এ রেজুলেশনে রাজি হয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে পশ্চিমা দেশের পক্ষ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে মানুষের মঙ্গলের জন্য পৃথক দু’টি রেজুলেশন আনা হয়েছিল। বাংলাদেশ উভয় রেজুলেশনে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার রেজুলেশন পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ার কারণে ভোট দেওয়া হয়নি। গত ২ মার্চের রেজুলেশন একতরফা ছিল এবং সেখানে শুধু রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধতো এক হাতে হয় না, এক হাতে তালি বাজে না। এখানে অন্য পক্ষের নামই আসেনি। সে জন্য আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, এটি অত্যন্ত পার্টিজান এবং এটিতে যুদ্ধ থামবে না। যুদ্ধ থামাতে হলে উভয় পক্ষকে আন্তরিকতার সঙ্গে সামনে আসতে হবে। কিন্তু আগেরটাতে মনে হয়েছিল এক পক্ষকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানের যুদ্ধ শুধু সৈন্য দিয়ে হয় না, অর্থনৈতিকভাবেও হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ধরনের বিষয় চিন্তা করছি। দেখা যাক কী হয়। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে এর একটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে এবং এটি গোটা বিশ্বের যে আর্কিটেকচার সেটি পরিবর্তন করতে পারে। এটি ভালো হবে না মন্দ হবে সেটি জানি না। তবে যে বিশ্বাসের জায়গার ওপরে অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল, সেটিতে একটি বড় ধরনের আঘাত আসবে।
যুদ্ধে সব দেশের ক্ষতি হয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন তেলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসের দাম বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু আমরা যেহেতু আন্তনির্ভরশীল একটি ব্যবস্থার বড় সদস্য, আমাদের উন্নয়ন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এর বড় প্রভাব আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাপ আমাদের অনেক দিক থেকেই আছে। কিন্তু চাপ আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনও ভ্রুক্ষেপ করেন না। বাংলাদেশের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন এবং কোনও চাপের পরোয়া করেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ