বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি চেয়ার। আহতদের মধ্যে ২ জনকে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরআগে সকাল থেকে ওইস্থানে শুরু হয় সম্মেলন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই পরিষদের জেলা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরমধ্যে কেন্দ্র থেকে গোপনে একটি আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই আহŸায়ক কমিটি শুক্রবার চৌমুহনীতে প্রতিনিধি সভার কথা বলে সকল উপজেলার নেতৃবৃন্দদের ঢেকে চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে একত্রিত করেন। কিন্তু সভাস্থলে এসে তারা দেখতে পায় সেখানে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ব্যানার লাগানো হয়েছে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধি সভার স্থলে কেন সম্মেলন এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহŸায়ক কমিটির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। যা কিছুক্ষনের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষে, ভাঙচুর করা হয় সভাস্থলে থাকা কয়েকটি চেয়ার। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৯জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দিপন রায় ও সুমন নামের দু’জনের অবস্থায় শংকাজনক হওয়ায় তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলার আহŸায়ক কমিটির দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির একজন সদস্য বলেন, সংঘর্ষ হলেও সম্মেলন বন্ধ হয়নি। উল্টো সম্মেলনে পরিষদের বর্তমান আহŸায়ক বিনয় কিশোর রায়কে সভাপতি, অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহাকে সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র রতন কৃষ্ণ পালকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নীল চন্দ্র ভৌমিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান জানান, কোন প্রকার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই তারা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এসব বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।