পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমম।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেডেলিন অলব্রাইট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে, ১৯৯৯ সালে কসোভোতে জাতিগত মুসলিম নিধন ঠেকাতে তিনি যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা প্রশংসনীয়।
ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, ‘মেডেলিন অলব্রাইট একাধারে ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, কঠোর পরিশ্রমী ও একজন পরিণত শিক্ষক।’
১৯৩৭ সালে তৎকালীন চেকস্লোভাকিয়ার প্রাগে জন্ম নেওয়া অলব্রাইটের বাবা ছিলেন একজন কূটনীতিক। ১৯৩৯ সালে নাৎসিরা চেকস্লোভাকিয়া দখলের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন।
মেডেলিন অলব্রাইট ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি।
ডেমোক্রেট নেতা জিমি কার্টার যখন প্রেসিডেন্ট, তখনই হোয়াইট হাউসে কাজ শুরু করেন মেডেলিন অলব্রাইট। পরে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯৩ সালে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করা হয় মেডেলিন অলব্রাইটকে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় তাকে।
বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১২ সালে মেডেলিনকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করা হয়।
মেডেলিন অলব্রাইটের মাধ্যমে যে যাত্রার শুরু হয়েছিল, সেই পথ ধরে পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন কন্ডোলিজা রাইস ও হিলারি ক্লিনটন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।