মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রুশ বাহিনী অনুপ্রবেশ ও হামলা ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। একই সঙ্গে পুতিন এমন পদক্ষেপের অভূতপূর্ব প্রভাব পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতিতেও। দেশটির অর্থনীতি একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রুশ-ইউক্রেন সংকটের জেরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা গত কয়েক দশকে কেউ ভাবতেও পারেনি।
পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য পাঠিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আক্রমণের নির্দেশ দেন। ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করতে এবং দেশটির পশ্চিমাপন্থি নেতৃত্ব হটাতে পুতিন এ হামলাকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে দাবি করছেন। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই মারিউপোল বন্দরনগরী এ যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে মারিউপোল চলমান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা দ্বন্দ্বমুখর হলেও এগিয়ে চলেছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে, ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যেই পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের রাস্তায় রাস্তায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেন বাহিনীর লড়াই চলছে। রুশ বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে শহরটি। রুশ বাহিনী শহরটি ঘেরাও করে রেখেছে। রাশিয়ার তীব্র উড়োজাহাজ হামলা মারিউপোলকে ‘ছাইয়ে ভরা মৃত্যুপুরিতে’ পরিণত করছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে নগরের সিটি কাউন্সিল।
খাবার, পানি, বিদ্যুৎ বা উষ্ণতার কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ মারিউপোলের বিভিন্ন ভবনে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, মারিউপোলে বেসামরিক লোকজন এবং ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার গোলাগুলির মুখে পড়ছে।
মারিউপোলে প্রায় চার লাখ মানুষ বসবাস করত। রুশ সামরিক বাহিনী এবং রাশিয়া-সমর্থিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দল এরই মধ্যে মারিউপোলের প্রায় অর্ধেকটা দখল করে নিয়েছে। এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বরাতে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
কিন্তু, এত কিছুর মধ্যেও আজ সকালে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন। যদিও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে একাধিবার আলোচনায় খুব একটা ফল আসেনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি (আলোচনা) খুব কঠিন, কখনও কখনও দ্বন্দ্বমুখর হয়ে ওঠে। তবে, আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।