পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণের অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকিফ আহমেদ। একই অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
গত ২০ মার্চ দায়েরকৃত অভিযোগ ও অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিমূলক পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এ বহিষ্কারাদেশ দেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত এ বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, অভিযোগ এবং স্বীকারোক্তি বিবেচনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ৩৪তম কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভায় অভিযুক্ত আকিফ আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সংগঠনের যেকোনো স্তরের যেকোনো কার্যক্রমের সাথে অভিযুক্ত আকিফ আহমেদের সংশ্লিষ্টতা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে আকিফ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, এক বছর আগে তার (ভুক্তভোগী) সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের এক পর্যায়ে সে অসম্মতি জানায় কিন্তু অগ্রাহ্য করি। এরপর ২ কি ৩ মাস আমাদের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকে। পরবর্তীতে আমরা আবার রিলেশনে যাই এবং দু’জনের মাঝে বনাবনি না হওয়ায় ২ মাস আগে আবার সম্পর্কচ্ছেদ হয়। এখন সে অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছে যার সাথে আমার ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের বিরোধ রয়েছে। তাই বলা যায়, ছাত্র ইউনিয়নে আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর এক বছরের পুরনো বিষয়ে অভিযোগ আনার পেছনে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ বলেন, ১ বছর পুরনো হোক আর ১০ বছর হোক, ভুক্তভোগী যে কোনো সময় চাইলে অভিযোগ করতে পারে। এখন এই বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে এবং একইসাথে অভিযুক্তের লিখিত পদত্যাগ পত্রও এসেছে। আমরা সাংগঠনিক জায়গা থেকে তাকে বহিষ্কার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্ত তার দায় স্বীকার করেছেন। অভিযোগ ও অভিযুক্তর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাকে বহিষ্কার করেছি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।