পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ভারতের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের জন্য ‘আচ্ছে দিন’ নিয়ে আসবেন। সেই প্রতিশ্রুতির কথা মাথায় রেখে, জনগণ তাকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় এনেওছিল। শুধু ২০১৪-ই নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও মানুষ আরো একবার কেন্দ্রের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনে। প্রথমে ‘আচ্ছে দিন’-এর কথা বলা প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ধাপে প্রতিশ্রুতি হিসেবে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। দেখতে দেখেতে আরো একটা লোকসভা নির্বাচন শিয়রে। তাহলে মোদির প্রতিশ্রুতি কি আদৌ পূরণ হয়েছে?
এবার তাহলে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টটা একবার দেখে নেয়া যাক। তাহলেই এ প্রতিশ্রæতি কতোটা পূরণ হয়েছে, তারও কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট মোতাবেক ভারত আছে ১৩৬ নম্বরে। বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে সুখের মাপকাঠির বিচারে ভারত এ স্থানেই রয়েছে বর্তমানে। যদিও এটা ২০২১ সালের রিপোর্ট। নতুন বছরের সবে মাত্র তিন মাস হয়েছে। একটা বছর শেষ হওয়ার পরই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেই অনুযায়ী, এটাই ইউনাইটেড নেশনস সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের শেষ রিপোর্ট।
রিপোর্ট বলছে, ভারত শেষের দিক থেকে রেকর্ড করার কাছাকাছি আছে। এককথায়, এ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অসুখী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মোদির এই ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’। ভারতের পরেই রয়েছে আফগানিস্তান। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির বৈদেশিক তহবিল আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট। ফলে প্রবল আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে দেশটি। অন্যদিকে, এ রিপোর্ট বলছে, অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও, অনেক বিষয়ে পিছিয়ে থাকলেও ভারতকে সুখী দেশের বিচারে টেক্কা দিয়েছে প্রতিবেশী ছোট্ট দেশ নেপাল। শুধু যে টেক্কাই দিয়েছে তাই নয়, ভারতের থেকে অনেকটা এগিয়ে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট মোতাবেক নেপাল ৮৪ নম্বরে রয়েছে। এর থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে আবার বাংলাদেশ, ৯৪ নম্বরে। এর থেকে আরো কিছুটা দূরে পাকিস্তান। পকিস্তানের স্থান ১২১ নম্বরে। নেপাল এবং বাংলাদেশ যেমন তালিকায় নম্বরের বিচারে কাছাকাছি রয়েছে, তেমনই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা কাছাকাছি রয়েছে। শ্রীলঙ্কা তালিকায় ১২৭ নম্বরে রয়েছে। এদের সবার থেকেই পিছিয়ে রয়েছে ভারত। টানা পঞ্চমবার জাতিসংঘের বার্ষিক সূচকে ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সমৃদ্ধিতে সর্বাধিক বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে সার্বিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া। অর্থনৈতিক পতনের সম্মুখীন লেবানন রয়েছে ১৪৫ নম্বরে। তার ঠিক উপরে রয়েছে জিম্বাবুয়ে (১৪৪)। ১৪৬টি দেশের সূচকে শেষ স্থানে আফগানিস্তান।
হ্যাপিনেস রিপোর্টটি অবশ্য তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের আগে। উত্তর ইউরোপীয়রা বরাবরই সুখের ব্যাপারে তালিকার উপরের দিকে আধিপত্য বিস্তার করে। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস গড়ে সুখী দেশ। সুখের ব্যাপারে আমেরিকা তিন ধাপ উঠে ১৬তম স্থানে এসেছে। তারা ব্রিটেনের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। ফ্রান্স উঠে এসেছে ২০ নম্বরে। কোভিডের আগে এবং পরে মানুষের আবেগ তুলনা করার জন্য সামাজিক মিডিয়া থেকে ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮টি দেশে উদ্বেগ এবং দুঃখ বেড়েছে। তবে রাগের অনুভ‚তি হ্রাস পেয়েছে।
একনজরে বিশ্বের প্রথম ১০ সুখী দেশ: ১. ফিনল্যান্ড, ২. ডেনমার্ক, ৩. আইসল্যান্ড, ৪. সুইজারল্যান্ড, ৫. নেদারল্যান্ডস, ৬. লুক্সেমবার্গ, ৭. সুইডেন, ৮. নরওয়ে, ৯. ইসরাইল, ১০. নিউজিল্যান্ড। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।