মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইতোমধ্যে। তারল্য সংকটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। রাজধানী কলম্বোয় পরীক্ষার খাতার কাগজ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশটির পশ্চিম প্রদেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত তারল্য সংকটের কারণেই কাগজের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে। খবর আলজাজিরা ও হিন্দুস্তানটাইমস।
শ্রীলঙ্কার শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাওয়া এক সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কাগজের সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক অবস্থার কারণে দেশটি এখন প্রয়োজনীয় কাগজ আমদানি করতেও সক্ষমতা রাখছে না।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, দেশের স্কুলগুলোর অধ্যক্ষরা কোনও অবস্থাতেই পরীক্ষা নিতে পারবেন না। কারণ কাগজ ছাপানোর জন্য যেই অর্থের প্রয়োজন তা নেই।
নবম, দশম এবং একদাশ শ্রেণীর পরীক্ষাগুলো বছরের শেষ দিকে নেওয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী গ্রেডে উন্নীত করা হবে কিনা এর মূল্যায়ন হয়ে থাকে।
গত সেপ্টেম্বরে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এর ফলে মৌলিক খাদ্যপণ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ ও বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায় সরকার। জানুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১৪.২ শতাংশে পৌঁছায়। দক্ষিণ এশীয় দেশটির পর্যটন খাত থেকে আসা ডলারের প্রবাহ কমে গেছে মহামারিতে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ সর্বোচ্চ ও অস্থিতিশীল পথে ছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার এই রাষ্ট্রটি বেশ কয়েকবছর ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছে। তাদের অবস্থা দিন দিন আরো নিম্নগামী হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির কারণে দেশটি প্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ ঠিকমতো আমদানি করতে পারছে না।
চলতি সপ্তাহে দেশটি ঘোষণা করেছিল, ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ সংকট মোকাবেলা ও বহিরাগত রিজার্ভ বাড়াতে আইএমএফের বেলআউট চাইবে কলম্বো। গত শুক্রবার আইএমএফ জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের অনুরোধটি বিবেচনা করছে।
বাৎসরিক ঋণ পরিষাধের জন্য কলম্বোর এ বছর ৬৯০ কোটি ডলার প্রয়োজন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির শেষে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ২৩০ কোটি ডলার, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ ধরনের আর্থিক সঙ্কটের কারণে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে রেশনিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।