Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়ী হবে রাশিয়া

মস্কোতে বিশাল সমাবেশে ঘোষণা পুতিনের এরদোগানের সাথে ফোনালাপে সুনির্দিষ্ট দাবি উপস্থাপণ ইউক্রেনে প্রথমবার ‘অদৃশ্য’ হাইপারসনিক মিসাইল হামলা রাশিয়ার বাইডেনকে পাত্তাই দিলেন না জিনপিং র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার মস্কোর একটি স্টেডিয়ামে একটি বিশাল পতাকা সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত তার সৈন্যদের প্রশংসা করেছিলেন। এই যুদ্ধে মস্কো বিজয়ী হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এ দিনই ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া।
এর আগে, ইউক্রেন ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট একগুচ্ছ দাবি উপস্থাপণ করেছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের সাথে ফোনালাপের সময় তিনি এসব দাবি উপস্থাপণ করে জানান, এগুলো পূরণ করা হলেই ইউক্রেনে শান্তি আসবে। এদিকে, শুক্রবার সন্ধায় ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দুই ঘন্টা ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাইডেনের সব অনুরোধই প্রত্যাখ্যান করেন জিনপিং। অন্যদিকে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করলে যুক্তরাজ্য মন্দার মধ্যে নিমজ্জিত হবে বলে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ক্রাইমিয়া এবং সেভাস্তোপলের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার গণভোটের অষ্টম বার্ষিকী এবং রাশিয়ার সাথে এর পুনর্মিলন উপলক্ষে শুক্রবার মস্কোর লুঝিনি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার সমর্থক সমবেত হয়। রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে ‘রাশিয়া, রাশিয়া, রাশিয়া’ সেøাগান দিয়ে তারা দাবি করে, ক্রেমলিনের সব লক্ষ্যই অর্জিত হবে। ‘নাৎসিমুক্ত পৃথিবীর জন্য’, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টের জন্য’ নানা সেøাগান লেখা মঞ্চ থেকে ৬৯ বছরের পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের কী করা প্রয়োজন, কিভাবে তা করতে হয় এবং এর মূল্য কী। আর আমরা অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।’ ইউক্রেনে রুশ বাহিনী মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা ‘জেড’ প্রতীক যুক্ত করেও স্লোগান দেয় বহু পুতিন সমর্থক। সেখানে পুতিন বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া রুশ সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার ঐক্য দেখিয়ে দিয়েছে।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনে অভিযানের দরকার ছিল কারণ যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে হুমকি দিতে দেশটিকে ব্যবহার করছিল। আর ইউক্রেনের রুশ-ভাষী মানুষদের ‘গণহত্যা’ থেকে রক্ষার দায়িত্ব রাশিয়ার। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম কোন সমাবেশে দেখা গেল পুতিনকে। তিনি রাশিয়ান সৈন্যদের প্রশংসা করে বলেন, ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, তারা পরস্পরকে সাহায্য করছে, পরস্পরের পাশে দাঁড়াচ্ছে আর যখন প্রয়োজন পড়ছে তখন ভাইয়ের মতো বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে অন্যকে রক্ষা করছে। এই ধরনের ঐক্য আমাদের দীর্ঘকাল ছিল না।’ পুতিনের ভাষণের আগে মঞ্চে বেজে ওঠে রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত। যুদ্ধ, আত্মত্যাগ এবং রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধরতদের সম্মান জানিয়ে গান পরিবেশন করে পুতিনের প্রিয় ব্যান্ড লিউবি। পড়া হয় কবিতা। মস্কো পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়ামের আশেপাশে ২ লাখেরও বেশি লোক উপস্থিত ছিল। ইভেন্টে দেশাত্মবোধক গানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুদ্ধটিকে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে, পুতিন রাশিয়ার সৈন্যদের সম্পর্কে বাইবেলের ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘বন্ধুদের জন্য নিজের আত্মাকে বিসর্জন দেয়ার চেয়ে বড় ভালবাসা আর কিছু নেই।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা স্পুতনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে নিরস্ত্র ও নাৎজিমুক্ত করতেই রুশ সেনারা সেখানে অভিযান চালাচ্ছেন। ডনবাসের দুই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ব্যাপক গোলাবর্ষণের পর ২৪ ফেব্রæয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন। লুঝিনি স্টেডিয়ামে ভাষণে পুতিন বলেন, ডনবাসের জনগণকে ‘গণহত্যা’ থেকে বাঁচানো ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘ডনবাসের বাসিন্দারা ২০১৪ সালে কিয়েভে অভ্যুত্থানের সঙ্গে দ্বিমত জানানোর পরপরই শাস্তিস্বরূপ তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন ইউক্রেনের সেনারা। তাৎক্ষণিক এসব মানুষকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়। পদ্ধতিগতভাবে তাদের ওপর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালাতে থাকে। এটাই গণহত্যা।’ ডনবাসে রক্তপাতের জন্য দায়ী সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘সেখানে গণহত্যা বন্ধ করার এটাই (সামরিক অভিযান) একমাত্র উপায়।’ পুতিন আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে নিরস্ত্র ও নাৎজিমুক্ত করার জন্য রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শুধু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক দিন আগে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন দুটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন পুতিন। স্পুতনিক আরও বলছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও দেশটির কট্টর জাতীয়তাবাদী সশস্ত্র ব্যাটালিয়নের হামলা থেকে রক্ষা পেতে দোনেৎস পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক রাশিয়ার কাছে সাহায্যের আবেদন জানানোর পর প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউক্রেনে প্রথমবার ‘অদৃশ্য’ হাইপারসনিক মিসাইল হামলা : শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইভানো-ফ্রানকিভিস্ক এলাকায় মাটির তলায় বিপুল অস্ত্রসম্ভার ছিল ইউক্রেনের। পালটা হামলা চালাতে প্রচুর মিসাইল জড়ো করা হয়েছিল সেখানে। এবার সেই অস্ত্রসম্ভারেই সরাসরি হামলা চালাল রাশিয়া। ছোঁড়া হয় হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল ‘কিনঝল’। ইউক্রেনে এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে রাশিয়া। ইতিপূর্বে কোনও সামরিক অভিযান বা যুদ্ধে রাশিয়ার এই অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহারের কথা শোনা যায়নি। হাইপারসোনিক মিসাইল ব্যবহারের কথা এতদিন রাশিয়ার তরফে স্বীকারও করা হত না। কিন্তু এবার ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশের উপর চাপ বাড়াতে অত্যাধুনিক এই অস্ত্র ব্যবহার করলেন পুতিন।

কিনঝল মিসাইল সিস্টেমকে ‘আদর্শ অস্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৮ সালে এই অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক মিসাইলটি সর্বসমক্ষে এনেছিল রাশিয়া। তাদের দাবি, শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিতে হামলা চালাতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে চোখের নিমেষে ফাঁকি দিতেও সক্ষম। এবার সেই অত্যাধুনিক মিসাইল আছড়ে পড়ল ইউক্রেনে।

ইউক্রেন ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট দাবি উপস্থাপণ : তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, বৃহস্পতিবার এরদোগানের সাথে ফোনালাপের সময় পুতিন যে সকল দাবি পেশ করেছেন তা দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে যে চারটি দাবি রয়েছে তা ইউক্রেনের জন্য পূরণ করা সহজ হবে। কিন্তু, দ্বিতীয় ভাগে যে সকল দাবি রয়েছে তা পূরণ করা ইউক্রেনের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। প্রথম ভাগে যে চারটি দাবি রয়েছে তার প্রধান শর্ত হচ্ছে, ইউক্রেনকে নিজেদের নিরপেক্ষ ভ‚মিকা মেনে নিতে হবে এবং তারা কখনো ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবে না। তাদেরকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে, রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন কোনো হুমকি নয়। ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং দেশটিকে ‘ডি-নাজিফিকেশন’ অর্থাৎ নাৎসিমুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে প্রথম দাবিটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন।

দ্বিতীয় ভাগের শর্তগুলো তুলনামূলক জটিল। কালিন ইব্রাহিম জানান, ফোন কলে পুতিন বলেছেন যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে মুখোমুখি বসতে চান। জেলেনস্কিও এরমধ্যে জানিয়েছেন যে, তিনিও রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে ওই আলোচনার শর্তগুলো নিয়ে খুব পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি কালিন কালিন। তিনি শুধু বলেছেন, এ বিষয়গুলো মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল ও ক্রাইমিয়া সংক্রান্ত। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখন্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনা বৈঠকের অয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

বাইডেনকে পাত্তাই দিলেন না জিনপিং : ‘এক হাতে তালি বাজে না।’ কিংবা ‘বাঘের গলায় ঘণ্টা যে বেঁধেছে তাকেই খুলতে হবে’। এভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব দিল চীন। শুক্রবার সন্ধায় বাইডেন-জিনপিং বৈঠক সম্পর্কে প্রকাশিত বিবৃতিতে এভাবেই চাপ বজায় রাখার খেলা অব্যাহত রাখতে দেখা গিয়েছে বেইজিংকে। এই যুদ্ধের জন্য আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোটকেই পরোক্ষেই দায়ী করছে জিনপিং প্রশাসন। শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে যুদ্ধের আবহে তৈরি হওয়া নতুন সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এরপর সেই ভিডিও কল নিয়ে দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সেখানেই এই ধরনের চালু প্রবাদের উল্লেখ করে বেইজিং তাদের বক্তব্য আবারও পরিষ্কার করে দিল। বিবৃতির অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়েই রয়েছে তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা হস্তক্ষেপে চীনের বিক্ষোভ। এরই পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো যেভাবে কেবলই রাশিয়াকে দায়ী করছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।

চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার আলোচনা চলাকালীন জিনপিং বলেন, ‘যুদ্ধে কারও স্বার্থরক্ষা হয় না। শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুই দেশের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতে গড়ানো উচিত নয়।’ বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় চীনা প্রেসিডেন্টের উপর রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরি করেছেন বাইডেন। কিন্তু সেই প্রয়াস যে সফল হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল ওয়াকিবহাল মহল। বৈঠক সংক্রান্ত বিবৃতি থেকে সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। আগেই জানা গিয়েছিল যে মাস্টার কার্ড ও ভিসার মতো আর্থিক লেনদেন সংস্থাগুলো রাশিয়ায় কাজ বন্ধ করার পর চীনা সিস্টেম ব্যবহার করছে দেশটি। একইসঙ্গে পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রেও চীন বড় বাজার হয়ে উঠতে পারে। ফলে মস্কো-বেইজিং বন্ধুত্ব নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।

রাশিয়ার তেল-গ্যাস নিষিদ্ধ করলে যুক্তরাজ্য মন্দার শিকার হবে : ইউরোপ অবিলম্বে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করলে যুক্তরাজ্য ৭০ বিলিয়ন পাউন্ডের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং মন্দার মধ্যে নিমজ্জিত হবে। ব্রিটিশ চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার বা অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ব্যক্তিগতভাবে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সুনাক মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন যে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ৭০ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত ক্ষতি করবে - যা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এর প্রায় ৩ শতাংশের সমতুল্য, আলোচনার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র প্রকাশ করেছে। এর ফলস্বরূপ ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যকে মন্দার মধ্যে পড়তে হবে, এমন এক সময়ে যখন পরিবারগুলো ইতোমধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ জীবনযাত্রার সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ও খাদ্য বিলের কারণে উদ্ভ‚ত হয়েছে। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এপি, স্পুতনিক, রয়টার্স, ডন, পলিটিকো, ডেইলি সাবাহ।



 

Show all comments
  • সবুজ ২০ মার্চ, ২০২২, ৮:৪৪ এএম says : 0
    দ্রুত যুদ্ধ শেষ হোক। এটা উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর
    Total Reply(0) Reply
  • Easin Ali ২০ মার্চ, ২০২২, ১০:৩২ এএম says : 0
    হে আল্লাহ্ গায়ের জোরে নির্দোষ মানুষের উপর যারা অস্ত্র চালিয়ে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় এই বিচারের ভার আপনাকে দিলাম।আপনিতো মহান স্রস্টা।
    Total Reply(0) Reply
  • Tuhen ২০ মার্চ, ২০২২, ১০:৩৮ এএম says : 0
    এগিয়ে যাও তুমি কোন ভয় করো না নিশ্চিত জয় তোমার
    Total Reply(0) Reply
  • M M Islam ২০ মার্চ, ২০২২, ১০:৩৮ এএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • কিরন ২০ মার্চ, ২০২২, ১০:৩৯ এএম says : 0
    ইউক্রেন যে কেন এখনও আত্মসমার্পণ করছে না সেটাই আমার বুঝে আসে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ