Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা স্টার্টআপ খাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২২, ১২:১৪ এএম

ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ সেক্টর পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। পাকিস্তানি কনসালটেন্সি ফার্ম ইনভেস্ট টু ইনোভেট-এর তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে দেশটির ৮৩টি স্টার্টআপ কোম্পানিতে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু এ বছরই এ খাতে ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। খবর আল-জাজিরার। ইনভেস্ট টু ইনোভেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং এর সহযোগী ফার্ম আইটুআই ভেঞ্চারস-এর সাধারণ অংশীদার এবং প্রাথমিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারী কালসুম লাখানি। তিনি বলেন, ২০২১ সাল ছিল স্টার্টআপ খাতের জন্য রেকর্ড অর্জনের বছর এবং এর ধারাবাহিকতা নিয়ে লোকে প্রশ্ন তুলতে পারেন বলেও মনে করেন তিনি। স্টার্টআপ ও বিনিয়োগকারীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পরিবেশের সামগ্রিক উন্নয়ন করা যেমন বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নতুন এই ব্যবসার চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনবলের দরকার। একই সঙ্গে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সুশৃংখল নিয়ম-নীতির পরিবেশও প্রয়োজন। কালসুম লাখানি আরও বলেন, ব্যবসায় গতি যখন আসবে, তখন একে স্থায়ী ও টেকসই করার জন্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের স্তম্ভগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। পাকিস্তানে স্টার্টআপ খাতের এই বিকাশের জন্য কোভিড-১৯ একটি অনুঘটক ছিল। ২০২০ সালে দেশটিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ৬ কোটি মার্কিন ডলার, ২০২১ এ সেটি দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারে। একের পর এক লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনের ফলে উদ্যোক্তারা লোকজনকে দিয়ে ডিজিটাল পণ্য তৈরির সুযোগ পেয়েছে। ২০১৫ সালে পাকিস্তনে ২৫০টিরও বেশি স্টার্টআপ কোম্পানিতে কমদামী স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের বিস্তার ঘটে। এরই ফলে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ পাকিস্তানে সেলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮৪ মিলিয়নে। সাশ্রয়ী মূল্যের ডেটার কারণে স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ইন্টারনেটভিত্তিক যে সেবাগুলো রয়েছে পাকিস্তানের বাজার সেখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। এর মধ্যে রাইড-শেয়ারিং, খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ অন্যতম। ইনভেস্ট টু ইনোভেটের ‘পাকিস্তান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রিপোর্ট- ২০২১’ খাতটির বিকাশের জন্য একটি সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরির দিকে আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সঠিক মানবসম্পদ ও মূলধন খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিতে পারলেই প্রবৃদ্ধি আসবে। আর এজন্য অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে যেন প্রতি বছর ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আল-জাজিরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ