Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কলাগাছের প্রতিটি অংশই স্বাস্থ্যকর

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২২, ১২:১৪ এএম


কলাগাছের আশ্চর্যজনক ভেষজ গুণ রয়েছে। কলাগাছের প্রতিটি অংশই আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

কলাপাতার রসের এতই গুণ আছে যে, এই রস টনিক হিসেবে ব্যবহার করলে মানুষ সচরাচর ভোগা বহু অসুখবিসুখ, বিশেষ করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠবদ্ধতা, আমাশয়, রক্তহীনতা, অ¤øপিত্ত, উচ্চরক্তচাপ এবং লিভারের দোষ ইত্যাদি নাশ হয়। কোমল কলা গাছের পাতা বিশেষ করে ভীমকলা, মালভোগ কলা, চাঁপাকলা ইত্যাদির পাতা থেতলে রস বের করে বোতলে ভরে ৫-৬ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। সেই রসে এক চামচ চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে আধা কাপ করে দু’বার খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা কলাপাতার রসে চিনির পরিবর্তে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে ১৫-২০ দিন ব্যবহার করলে উপরে উল্লেখিত রোগগুলো নিরাময় হয়। কলাপাতায় রয়েছে ক্লোরোফিল নামক এক ধরনের গুণ বিশিষ্ট উপাদান। ক্লোরোফিল আমাদের পেটের অন্ত্রের ঘা, চর্ম রোগ, রক্তহীনতা ইত্যাদি নিরাময় করে। কাঁচার চেয়ে পাকা কলা বেশি উপকারী। পাকা কলা না গিলে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশগুলোতে কলাপাতার রস দিয়ে ওষুধ তৈরি করে বহু রোগের চিকিৎসা করা হয়। ফ্রান্স এবং ইতালির ডাক্তাররা কলাপাতার রস দিয়ে তৈরি ওষুধের মাধ্যমে টিবি, আন্ত্রিক রোগ ইত্যাদি নিরাময় করেন।

জার্মানির এক ডাক্তার বি সুইকল ব্রঙ্কাইটিস, নেফ্রাইটিস, রক্তক্ষরণ, সর্দি, কাশি ইত্যাদি রোগেভোগা রোগীদের কলাপাতার রস দিয়ে প্রস্তুত করা ওষুধ খাইয়ে ভালো করেছেন। কলাপাতার রসে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’ এবং ট্যানিম থাকে। কাঁচাকলা আবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড থাকায় কিডনিতে পাথর হতে পারে।

সাংবাদিক-কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন