মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি ক্যানসারের মতো কোনও মারণরোগে আক্রান্ত? ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে এমন গুঞ্জন। মনে করা হচ্ছে, হয়তো বা স্মৃতিভ্রংশ জাতীয় অসুখেও ভুগছেন তিনি। তেমনই লক্ষণ নাকি দেখা যাচ্ছে পুতিনের ব্যবহারে? রাশিয়া বিরোধী পাঁচ দেশের গোয়েন্দা জোট ‘ফাইভ আইজ’ এমনটাই দাবি করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে এই আশঙ্কাকে ঘিরে।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ব্রিটেন ও আমেরিকা- এই পাঁচটি দেশের গোয়েন্দাদের জোট ‘ফাইভ আইজ’। সেই জোটের দাবি, পুতিনের সাম্প্রতিক ফুটেজ থেকে মনে হচ্ছে, তার শরীরে একটা ফোলা ভাব রয়েছে। এমনকী, কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ তাকে করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী, গত পাঁচ বছরের তুলনায় তার সিদ্ধান্তেও বদল দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কিছুটা অসংলগ্ন রুশ প্রেসিডেন্টের আচরণ।
তাদের দাবি, ক্যানসার জাতীয় কোনও গুরুতর অসুখে ভুগছেন পুতিন। ভুগছেন ডিমেনশিয়া অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশের অসুখে। আর সেই কারণেই তাকে নানা ধরনের স্টেরয়েড নিতে হচ্ছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকী, এই অসুস্থতার কারণেই শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন, এমনও দাবি ওই গোয়েন্দা সংস্থার।
এর আগে একই ধরনের দাবি করতে দেখা গিয়েছিল ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লর্ড ডেভিড ওয়েনকেও। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সমস্যা হচ্ছে। হয় তাকে কোনও ধরনের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে কোনও রোগের চিকিৎসা হিসেবে। অথবা বডি লিফটিং কিংবা ওয়েট লিফটিংয়ের জন্যও স্টেরয়েড দেওয়া হতে পারে।’ তিনি দাবি করেছিলেন, এই ধরনের স্টেরয়েড থেকেই কোনও মানুষের আক্রমণাত্মক আচরণ বেড়ে যেতে পারে। বিবিসি সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছিল। সেই একই ধরনের দাবি এবার করতে দেখা গিয়েছে ‘ফাইভ আইজ’কেও।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমগুলিকে করতে দেখা যায়নি। সরকারি মাধ্যমগুলিও নীরব। তাই আপাতত পুতিনকে ঘিরে এই গুজব কেবল জল্পনার স্তরেই রয়ে গিয়েছে। সূত্র: দ্য মিরর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।