যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে ফিরেছেন অনেকেই। কিন্তু এই ফিরে আসার যাত্রায় তাদের হারিয়ে আসতে হয়েছে অনেককিছুই। শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ অনেক ক্ষতিই করেছে এই মরণঘাতি ভাইরাস। বিশেষ করে করোনা সেরে যাওয়ার পরও মানসিক বিভিন্ন অস্থিরতা যেন থেকেই যাচ্ছে। নতুন করে চাপ, উদ্বেগ ও মানসিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেক ভুক্তভোগী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর মানসিক অস্থিরতার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এটি ভীতিকর নয়। অনেকের মধ্যেই করোনা পরবর্তী জীবন নিয়ে চাপা উদ্বেগ থাকে, আবার সংক্রমিত হওয়ার ভয় চেপে বসতে পারে। যারা করোনার সময়ে দীর্ঘদিন বাড়িতে কাটিয়েছেন, তাদের মানসিক অবস্থাও খুবই নাজুক। তবে যেকোনো চাপ সামলাতে গেলে সবার আগে নিজেকে শান্ত রাখা জরুরি।
অনুভূতির মুখোমুখি হোন
আপনি কেমন অনুভব করছেন তা সবার সামনে বলুন। নিজের মনের কথাগুলো তুলে ধরুন। যেসব কথা চিন্তায় আসছে সেগুলো লিখে রাখুন। এতে পরে নিজেকে সামলে নেওয়া সহজ হবে। নেতিবাচক বিভিন্ন ভাবনা এসময় মাথায় এসে জড় হবে, সেগুলোকে একদমই পাত্তা দেওয়া চলবে না। কোন আচরণগুলো আপনাকে শান্ত ও সুন্দর রাখবে, তা চিন্তা করুন। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। এমন ব্যবহার করবেন না, যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়।
ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না
ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলবেন না। কারণ ভবিষ্যতের কথা কে-ই বা বলতে পারে! সামনে অনেককিছুই হতে পারে, না-ও হতে পারে। আমরা যেটি পারি সেটি হলো চেষ্টা। নিজেকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান। কোনোকিছু নিয়েই অতিরিক্ত প্রত্যাশা করে থাকবেন না। জীবনে অনিশ্চয়তা থাকবেই, তাই নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনার কিছু নেই।
নিজেকে ভালো রাখুন
নিজেকে শান্ত রাখতে ধর্মীয় প্রার্থনায় মন দিন। ব্যায়াম করতে পারেন। মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন। জগিং, স্কিপিং, স্পোর্ট এগুলোও কার্যকরী হতে পারে। শরীর ব্যাথা, ডিপ্রেশন সবকিছুই কমাতে কাজ করবে এগুলো।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
আপনার শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আপনি যেসব খাবার খাচ্ছেন, সেগুলোর। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। সব ধরনের জাঙ্ক ফুড ও ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিন। টক জাতীয় ফল খান। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্রাম নিন
কাজ করবেন ভালো কথা তবে নজর দিতে হবে বিশ্রামের দিকেও। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। মানসিক অস্থিরতার কারণে ঘুম না এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ঘুম ও বিশ্রাম পর্যাপ্ত না হলে আপনার অসুস্থতার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
রোদে থাকুন
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম প্রয়োজন হলো ভিটামিন ডি। এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে থাকুন। এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবেন। ফলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা কমে আসবে অনেকটাই।
ইতিবাচক থাকুন
যা-ই ঘটুক না কেন, ইতিবাচকতা ধরে রাখুন। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন, সম্পর্ক ধরে রাখুন। ফোন করুন, কথা বলুন, আড্ডা দিন। যোগাযোগ বন্ধ করবেন না। আপনজনের সঙ্গে কথা বললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।