পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীন, রাশিয়া ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আগামী বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ওয়াং ই, সের্গেই ল্যাভরভ ও এস জয়শংকরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, কানেক্টিভিটির ওপরে একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন ওই মন্ত্রীরা। অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে পরপর এসব বৈঠক হবে। রোহিঙ্গা, বাণিজ্য, টিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে উজবেকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মোমেন-ওয়াং বৈঠক : চীনের কাছ থেকে টিকা কিনছে সরকার। এছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়ে সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বেইজিং। সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও কীভাবে দৃঢ় করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। টিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন আমাদেরকে জানিয়েছে যে, টিকা সরবরাহে কোনও ধরনের ঘাটতি হবে না। এ মাসেই সিনোফার্মার আরও ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার আশা করছি আমরা।
উল্লেখ্য, চীন থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ লাখ টিকা হস্তান্তর করেছে। এছাড়াও চীন ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব রয়েছে এবং এই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য পুনরায় অনুরোধ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
মোমেন-ল্যাভরভ বৈঠক : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সম্পর্কের দৃঢ়তা আরও বাড়ানোর বিষয়ে রাজনীতিক পর্যায়ে সফরের জন্য একমত হয়েছে দুই দেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প, টিকা ক্রয়, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই মন্ত্রীর মাঝে আলাপ হবে।
মোমেন-জয়শংকর বৈঠক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরের মার্চে ঢাকা সফরের সময়ে অনেকগুলো বিষয়ে একমত হয়েছিল দুই দেশের সরকার। কিন্তু সেগুলো নিয়ে দৃশ্যত কোনও ধরনের অগ্রগতি হয়নি গত কয়েক মাসে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই, যে বিষয়গুলো নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা। গত তিন মাসে এ বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি এবং এজন্য এটি আমাদের অগ্রাধিকার। ভারত থেকে পণ্য আমদানি ৪০ শতাংশের ওপর বৃদ্ধি পেলেও রফতানি আশানুরূপ বাড়েনি। এমনকি পাট পণ্যের ওপরে শুল্ক এখনও বলবৎ আছে। আরও কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে অশুল্ক ও শুল্ক বাধা আরোপ করার চিন্তা করছে ভারত সরকার। এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি হতাশাজনক। আমাদের রফতানি ১০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি এবং অপরদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি অনেক বেশি। তারপরেও আমাদের পণ্য রফতানিতে বিভিন্ন বাধা দিচ্ছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।