পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিনিয়োগকারীদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সম্মানিত অতিথিদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা অনুগ্রহ করে বাংলাদেশে আসুন। স্বচক্ষে ঘুরে দেখুন এবং বিনিয়োগ করুন। আপনাদের খুব ভাল অভিজ্ঞতা হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা পাবেন।
গত বৃহস্পতিবার আবুধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক শেষ পর্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, এ ধরনের রোড শো করার উদ্দেশ্য হলো নতুন বাংলাদেশে কী ঘটছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরা। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ নিজেকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি এবং সরকার যে ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হব। বাস্তবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই প্রধানমন্ত্রী সত্যিই চান যে, সরকার বাস্তবে একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করুক। এ কাজে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসা উচিত।
প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিএসইসি ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি, বন্ড ও কমোডিটি মার্কেটে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। আপনারা বাংলাদেশে আসুন, বিনিয়োগ করুন এবং সুবিধাভোগ করুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আপনারা সর্বোচ্চ রিটার্ন পাবেন। এখানে বিনিয়োগের নিরাপত্তা রয়েছে। এখন পুঁজিবাজার প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরতে প্রস্তুত। আমাদের বাজারে নতুন পণ্য, নতুন বন্ড, সুকুক বন্ড, মুনি বন্ড, অবকাঠামো বন্ড, গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড আসছে। এসব জায়গায় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার এখন বিনিয়োগের অন্যতম একটি ক্ষেত্র। আমাদের বাজারে নতুন নতুন পণ্য আসছে। আমরা একটি ভালো ইকুইটি মার্কেট রয়েছে। একইসঙ্গে আমাদের বন্ড মার্কেট এখন খুব ভালো করছে। এছাড়া আমরা গত ১ বছর ২ মাসে ৬০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে এখানে বিনিয়োগ করেছে। তারা তাদের নিটা অ্যাকাউন্ট (অনাবাসী বিনিয়োগকারীদের টাকা অ্যাকাউন্ট) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করছে। তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তাদেরকে মুনাফা দিচ্ছে। গত ত্রিশ বছরে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক বেড়েছে। এটা আরও এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশেও আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরি হয়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বের এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আমাদের পুঁজিবাজারকে কমবেশি স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশাবাদী যে, খুব দ্রুত ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে ইমেজিং মার্কেটে চলে যাবে। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজার) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটনসহ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।