Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এক নম্বর হতে চায় বেইজিং চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে এক নম্বর হতে চায় চীন। অন্যদিকে বাংলাদেশ চায় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য। চলতি মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজ নিজ দেশের এই প্রত্যাশার কথা বলেন। সেমিনারে চীনের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বক্তব্যে দেন বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফায়েজ আহমেদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে বাংলাদেশ চীন সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ একটি চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর একটি মাইলফলক। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিরসন নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিষয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ চায় বাণিজ্যে একটা ভারসাম্য আনা। এ জন্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া কম খরচে চীনের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজেক্টে অর্থ সহায়তা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, চীনের বাজারে বাংলাদেশে পণ্যের প্রবেশ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চীনের বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ডের পণ্যের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সমতা আশা করে বাংলাদেশে।
সেমিনারে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাস। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে তারা বেশ কিছু বিষয় চূড়ান্ত করার কাজ করছেন। এই বিষয়গুলো সফরে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশে আর চীনের সম্পর্কের গভীরতা বোঝা যাবে। তিনি বলেন, চীন এ দেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ হতে চায়।
সেমিনারে চীনের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের চীনের অংশে বাঁধ দেয়ার কারণে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা এটা হবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। চাষের জন্য এখান থেকে পানি সরিয়ে নেয়া হবে না। তা ছাড়া ওই এলাকায় মানুষের বসবাসও নেই। বাংলাদেশে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হওয়া উচিত বলে মনে করে চীন। রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশে সম্পদ। চীনে সেখানে কাজ করতে চায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশে সঙ্গে চীনের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টর সফর এই সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। চীন বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার পথে রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড চোখে পড়ে। সড়ক, রেল, সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামোয় চীনের সহায়তা রয়েছে।
বিইআই এর সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান বলেন, চীন ও ভারত যদি তাদের বাজার মুক্ত করে দেয় হবে আগামী ৫ বছরে পোশাক খাতে ৫০ ডলার বিলিয়ন রপ্তানির প্রত্যাশা পূরণ হবে। চীন আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এ দেশের মানুষ এর প্রতিফলন দেখতে পাবে। তিনি বলেন, তবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশে বিনিয়োগে এক নম্বর হতে চায় বেইজিং চীনা রাষ্ট্রদূত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ