মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর এপর্যন্ত যত মৃত্যুর খবর সরকারের খাতায় এসেছে, প্রকৃত সংখ্যা তার তিন গুণ বেশি বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে এক গবেষণা প্রতিবেদনে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ‘কোভিড-১৯ একসেস মরটালিটি টিম’ ১৯১ দেশ এবং অঞ্চলের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলে বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘মহামারী’ ঘোষণা করল, তখন থেকে গত দুই বছরে অন্তত ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে লিখেছে, তাদের একটি অংশ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, অন্যরা মারা গেছেন সংক্রমণ পরবর্তী জটিলতায়। এর কারণ, শ্বাসতন্ত্র, হৃদযন্ত্র, কিডনি রোগ বা উচ্চ রক্তচাপে যারা ভুগছেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটলে তাদের সেসব জটিলতা আরও বেড়ে যায়। গবেষণকার যে প্রক্রিয়ায় মৃত্যুর এই সংখ্যা হিসাব করেছেন, তাকে তারা বলছেন ‘অতিরিক্ত মৃত্যু’।মহামারী শুরুর আগে কী পরিমাণ মানুষ মারা যেত, তার সঙ্গে তুলনা করে কোভিডে বা কোভিডের প্রভাবে এই বাড়তি ম্যৃতুর হিসাব তারা বের করার চেষ্টা করেছেন। এ কাজের জন্য সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ‘ওয়ার্ল্ড মরটালিটি ডেটাবেজ’, ‘হিউম্যান মরটালিটি ডেটাবেজ’ এবং ‘ইউরোপিয়ান স্ট্যাটিসটিসকস’ থেকে তথ্য নিয়েছেন গবেষকরা। দেশ ও অঞ্চলভেদে ‘অতিরিক্ত মৃত্যুর’ এই হারে পার্থক্য আছে। তবে এ গবেষণায় সামগ্রিকভাবে বিশ্বে গড় মৃত্যু হার দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১২০ জন। এর অর্থ হল, ২০২০ সালের শুরু থেকে ২০২১ এর শেষ পর্যন্ত কোভিড মহামারীতে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সরকারিভাবে ৫৯ লাখ মানুষের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে। ‘অতিরিক্ত মৃত্যু’র এই হিসাব গবেষকরা বের করেছেন গবেষণার পুরো দুই বছর সময়ের জন্য, সপ্তাহ বা মাস ধরে আলাদা কোনো হিসাব তারা করেননি। ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত তাদের এই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ এবং সাব-সাহরান আফ্রিকার নিম্ন আয়ের দেশগুলোতেই এই ‹অতিরিক্ত মৃত্যু› বেশি হয়েছে। তবে ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশেও কোভিডে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি। বলিভিয়া, বুলগেরিয়া, নর্থ মেসিডেনিয়া, লেসোথো এবং ইসোয়াতিনি- এই পাঁচ দেশে ‘অতিরিক্ত মৃত্যুর’ হার সবচেয়ে বেশি। আর আইসল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউ জিল্যান্ড এবং তাইওয়ানে এই হার সবচেয়ে কম। ওই গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাজ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালের মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাহার মানুষের মৃত্যুর যে তথ্য এসেছে, তা সরকারি হিসাবের কাছাকাছি। সেখানে অতিরিক্ত মৃত্যুর হার দেখানো হয়েছে প্রতি লাখে ১৩০ জন। ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের প্রধান লেখক ডা. হাইডং ওয়াং বলেছেন, জনস্বাস্থ্য সম্পর্তিক পরিকল্পনা সাজাতে মহামারীতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানাটা জরুরি। “সুইডেন, নেদারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, সেসব দেশে ‘অতিরিক্ত মৃত্যুর’ প্রধান কারণ কোভিড। তবে বিশ্বের অনেক দেশের নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের হাতে নেই।” কোভিডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা জানা সম্ভব হলে, তা পরে আরও গবেষণায় কাজে দেবে বলে মনে করে হাইডং ওয়াং। গবেষকরা বলছেন, কোভিডের টিকা এবং ওষুধের কল্যাণে সামনের দিনগুলোতে মহামারীর ‹অতিরিক্ত মৃত্যু› কমে আসবে। তবে মহামারী যে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং সামনের দিনগুলোয় ভাইরানের নতুন কোনো বিপজ্জনক রূপ আবির্ভূত হতে পারে, সে কথাও তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।