মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছে, এমনটা যদি কেউ ভেবে থাকেন, তাহলে সেটা হবে 'বিরাট ভুল'! বৃহস্পতিবার একথা বলেন জাতিসংঘের মহানির্দেশক অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মহামারির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এদিন একটি ভাষণ দেন গুতেরেস। সেখানেই তিনি বলেন, "দু’বছর আগের কথা। হঠাৎই এক ভাইরাসের হানায় মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অচিরেই অতি দ্রুত গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিবহণ, সরবরাহব্যবস্থা সবকিছু ভেঙে পড়েছিল। স্কুল বন্ধ, মানুষ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন! এই ঘটনা লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য়ের কবলে ঠেলে দিয়েছিল।"
গুতেরেস বলেন, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে মানুষও ভাইরাসের মোকাবিলায় সচেষ্ট হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং টিকা তৈরি করে করোনাকে বহুলাংশেই বাগে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন পৃথিবীর অধিকাংশ প্রান্তেই মহামারির আর তেমন দাপট নেই। তবে, আমরা যদি ভাবি, ভাইরাসের খেলা শেষ, তাহলে সেটা বিরাট বড় ভুল হবে।
এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বের অন্তত ৪৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। তবে, সরকারি নথির বাইরে সংখ্যাটা আরও বেশি হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। গত দুবছরে করোনা অন্তত বিশ্বের ৬০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাই আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
এই প্রসঙ্গে টিকার অসম বণ্টন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তার কথায়, "প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ কোটি টিকা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, এখনও কোটি কোটি মানুষ টিকার প্রথম ডোজই পাননি।" এর জন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিকেই দোষ দিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গুতেরেসের আশঙ্কা, দরিদ্র দেশগুলির মানুষ টিকা পাচ্ছে না। আর তার ফলেই আগামী দিনের করোনার নিত্যনতুন সংস্করণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। সেই ধাক্কা যে আরও ভয়াবহ হবে না, তার নিশ্চয়তা কী? তাই এখনও কোভিডবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সকলের টিকার পক্ষে সওয়াল করেছেন গুতেরেস। তা না হলে আগামী দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। সেই সম্ভাবনা এখনই সমূলে উৎখাত করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।