Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে যে পাঁচ জায়গায় বাঁচতে পারে প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১১:২২ এএম

একটি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। বিশ্বের মোট ৮টি দেশের কাছে এগুলো রয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধরত রাশিয়ার কাছে একাই ৬৮০০ পারমাণবিক বোমা আছে, আমেরিকার কাছেও এই বিধ্বংসী অস্ত্রের সংখ্যা হাজারে। রাশিয়া যদি এই অস্ত্রটি কোথাও ব্যবহার করত, পৃথিবী বিপদে পড়ত, তবে ৫টি জায়গা এখনও নিরাপদ থাকবে।

দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক যুদ্ধের সময় এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে প্রভাব ফেলবে না। এ কারণে ১৯৬১ সালের জুন মাসে চুক্তি এর আওতায় এখানে যেকোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই চুক্তিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এমন পরিস্থিতিতে এই মহাদেশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।

আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেও ওই মহাদেশে বর্তমান কলোরাডোর পাহাড়ি এলাকা (এল পাসো কাউন্টি, কলোরাডো) যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। কারণ, এই স্থানে পাহাড়ের (শেয়ান পর্বত) ভেতরে একটি নিউক্লিয়ার প্রুফ গুহা রয়েছে। এই গুহার প্রবেশপথে ২৫ টন ওজনের একটি বিশাল দরজা রয়েছে যা একটি পারমাণবিক বোমাও গলতে পারে না। এটি উত্তর আমেরিকার মহাকাশ প্রতিরক্ষা কমান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কমান্ডের সদর দফতর এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য ১৯৬৬ সালে আমেরিকা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।

তৃতীয় স্থানে, যা পারমাণবিক অস্ত্র থেকে নিরাপদ, উত্তর মেরুতে অবস্থিত একটি ছোট দেশ আইসল্যান্ড। সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে আইসল্যান্ড একটি নিরপেক্ষ দেশ। বিশ্বের কোনো দেশ তাকে শত্রু হিসেবে দেখে না। তাই এখানে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা খুবই কম। পরমাণু নিরাপদ স্থানের তালিকায় পরবর্তী নামটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপ গুয়াম। গুয়ামের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৬৮ হাজার এবং এখানে সেনাবাহিনী মাত্র ১৩০০ জন। এই দেশটি সম্পূর্ণভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং কোন দেশই এর শত্রু নয়। এখানে পারমাণবিক হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। কল্পনা করুন যে মাত্র ২৮০ জন পূর্ণকালীন সৈন্য সহ একটি দেশ কতটা নিরাপদ হবে!

এই তালিকার শেষ নামটি কিছুটা চমকপ্রদ। সাধারণত মুসলিম দেশগুলো থেকে ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার হুমকি পাওয়া যায়। এতদসত্ত্বেও ইসরাইলে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা কমে যায় কারণ সেখানে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের অতি প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, যেগুলো কেউ ধ্বংস করতে চাইবে না। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক হামলার প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র: দ্য সান।



 

Show all comments
  • Md. zakiul islam ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    এই সব পাগলামি খবর কিভাবে ছাপা হয় ? পারমানবিক তেজক্রিয় মেঘ কাওকেই ক্ষমা করবে না । সারা পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসবে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ