বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের ৩৮টি অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনের নেতৃত্বে গুলিস্তান সুন্দরবন সুপার মার্কেটে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুস সামাদ এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফিফা খান উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সুন্দরবন মার্কেটের ৩৮টি অবৈধ দোকানের মধ্যে ১৮টি দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়। বাকি ১৭টি দোকানের মালিকেরা নিজ দায়িত্বে ভেঙে নিয়ে যান।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব অবৈধ দোকানের মাধ্যমে প্রভাবশালীরা লুটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রমাণ পেলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের পরে প্রায় ১৫০টি অবৈধ দোকান তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিক্রি করা হয়েছে এবং কিছু ভাড়া দিয়েছে দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লুটে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জড়িত আছে সিটি করপোরেশন এবং মার্কেট কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও। সূত্র জানায়, দোকান মালিক সমিতির নেতা ফিরোজ আলম, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ তারেক হাসান, শাহ আলম চৌধুরী অবৈধ দোকান তৈরীতে নেতৃত্বে দিয়েছেন। তারা সবাই ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিনের অনুসারী। দোকান মালিক সমিতির এই নেতারা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীকে সভাপতি করে গত বছর থেকে মার্কেটটি পরিচালনা করে আসছে। তবে এ বিষয়ে মন্নাফী গণমাধ্যমে একাধিকবার বলেছেন, তিনি এসবের সাথে জড়িত না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর উচ্ছেদের আগে ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি ও পণ্যের জন্য পরিচিত সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে এক সময় ৭৬৯টি অবৈধ দোকান নির্মাণ করেছিলেন যুবলীগের নেতা শাহাবুদ্দিন। মার্কেটের সিঁড়ি, হাঁটা-চলার পথ, লিফট, টয়লেটসহ বিভিন্ন জায়গা দখল করে এসব দোকান গড়ে উঠেছিল। দোকান বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও হোতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সিটি করপোরেশন।
ডিএসসিসি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। আজও অভিযান চলবে। এদিকে অবৈধ উপায়ে যেন কোনও প্রকার দোকান গড়ে উঠতে না পারে এ বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।